সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: 12:24 AM, August 14, 2019
পার্থ সারথি দাস :: প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একটি আশ্চর্যসুন্দর সুর্যোদয় আমরা দেখতে চাই। এই সুর্য-আলোয় ভরে উঠবে-চারদিক, ভরে উঠবে মন। সুর্যোদয় হয় কিন্তু মন ভরে দেওয়া সুর্যোদয় দেখি না। চারধারে জ্বলছে হতাশার আগুন। এই আগুন নেভাতে হবে অন্য আরেক আলো দিয়ে। সেই আলো কার কাছে আছে? যারা পরহাসিক, ঘোর সমালোচনা ছাড়া যাদের আর কোনো কাজ নেই তাদের মধ্যে এই আলো নেই। তারা আলোহীন খাঁচায় যাপন করে অশান্তির দিন।
তবে এই অন্যআলো ধারন করে পথ হাঁটছেন নিভৃতচারীরা। এই নিভৃতচারীরা ত্যাগের শিা কি তা জানেন, জানেন দানের মানে কি, তারা এ-ও জানেন কোনো কিছু পাওয়ার আশায় কাজ করতে নেই। নিস্কাম দানে, নিস্কাম কাজেই অপার আনন্দ এই জ্ঞানে তারা পূর্ণ। এই জ্ঞান, এই বোধ ত্যাগের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো ভোগবাদী বা লুটপাটের রাজনীতির কাছ থেকে নেওয়া যায় না। আমাদের ব-দ্বীপ দেশের ইতিহাসে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে এমন ত্যাগী রাজনীতিকের নাম। তারা সত্যি মানুষের জন্য কিছু করে, কিছু দিতে পেরে, দেওয়ার চিন্তা করে পথ হেঁটেছেন। প্রানও দিয়েছেন। মানুষের প্রেমে পড়ে মানুষের জন্য প্রান দিয়ে তারা মানুষের মুক্তি চেয়েছেন। নিজের সুখ চাননি। পরের সুখে নিজে সুখী হতে চেয়েছেন।
এখন অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠছে মন থেকে মনে। সন্দেহের গাছ আমরা লাগিয়েছি মানস-জমিনে। এ থেকে কি ভালো কোনো ফল পাওয়া সম্ভব? এ থেকে হতাশার কালো ধোঁয়াই বের হবে। এতে জীবন য়ে যাবে, য়ে য়ে চলতে থাকা জীবন নিতে পারবে, দিতে পারবে না। এই জীবন রেখে কি লাভ যে জীবন শুধু নেয়; কিছু দেয় না।
মানুষের মুক্তির জন্য রাজপথে মিছিল হয়েছে। আমরা দেখেছি কীভাবে হাসতে হাসতে প্রান দিয়েছেন এই ত্যাগীজনেরা। এখন মিছিল দেখি- এই মিছিল চাঁদাবাজদের মিছিল। তেলবাজদের মিছিল। গুন্ডাদের মিছিল। ধর্ষণ ও লুটপাটকারীদের মিছিল। তাদের মিছিলের সামনে রাজনৈতিক দলের ব্যানার থাকে। এই ব্যানার তাদের ভোগের পথকে সুগম করে। চাঁদাবাজদের মিছিলের শরিকরা মানুষের শত্র“। মানুষের ঘৃনা আর সব নিন্দা এইসব চাঁদাবাজদের জন্য বাড়ছেই। রাজনীতির নামে লুটপাটের জন্য পথ প্রশস্ত হচ্ছে, ছোট-বড় সেতু তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ত্যাগের বা দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরির পরিবেশ বিরল। মানুষই মানুষের মুক্তির পথকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ভোগের পিছনে ছুটতে ছুটতে একে একে জানালা বন্ধ হচ্ছে আলো ঢোকার।
বানী শুনি। সুর বাজে কানে। কথায় কথায় চলে যায় সময়। দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন কত সিগারেটখোরের সিগারেট শেষ হয় দেশ উদ্ধার করে। বানী আর সুর ধারন করার শক্তি তাদের যে নেই। হতাশার কালো রঙ ছড়িয়ে তারা সময়ের কাছে কালো তালিকাভুক্ত। তাদের অনেক কিছু দেওয়ার ছিল।
তবে কি আশার রঙিন আলোর দেখা মিলবে না? মিলবে, সত্যি মিলবে। ত্যাগের পথ, ত্যাগের পথ ধরে আনন্দ লাভের জন্য বিপ্তি হয়ে ঘুরতে থাকা মানুষদের কাছ থেকে এই রঙিন আলোর দেখা মিলবে। রাজনীতিতে সৎ মানুষদের, অনুকরনীয়দের একটি জোর বন্ধন দরকার। এই বন্ধন হবে আদর্শের বন্ধন।
প্রচার ও প্রকাশের লোভে যারা দেশপ্রেম ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাজপথে নামে তারা এক সময় রাজপথ ছেড়ে দেয়। কারন তারা মৌলিক মানুষ নয়। তাদের ভেতরে প্রচারের উদগ্র বাসনা। তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় এই বাসনা। উপলব্ধিতে দেশপ্রেম, উপলব্ধিতে দেশ, উপলব্ধিতে জাতীয় পতাকা, উপলব্ধিতে দেশের মানুষের উজ্জল উপস্থিতি জরুরী। তখন বুক ভরে ‘ও আমার দেশের মাটি/ তোমার পরে ঠেকাই মাথা’ গানটি গাওয়া যায়। এই গাওয়া উপলব্ধি থেকে, প্রানের ভেতর থেকে আসে। সংবাদপত্রে বা টিভিতে নাম প্রচারের জন্য যে ‘গাওয়া’ সেই গাওয়ার সঙ্গে এই ‘প্রান খুলে গাওয়ার’ পার্থক্য অনেক। প্রান থেকে প্রানে তখন জাগরন সম্ভব। এই জাগরন থেকেই আসবে সত্যিকারের গনজাগরন।
অতি প্রগতিশীলতা আর উগ্রতার অন্ত:সার শুন্যতা -কোনটিই দেশের জন্য শুভ সময় বয়ে আনবে না। শুভ সময়ের জন্য স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে মানুষের জন্য যে রাজনীতি সেই রাজনীতিকে জাগাতে হবে। গনমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারের জন্য স্থাপন করা মঞ্চ-মাইক বেশিদিন টিকে না। প্রচার শেষ হলে গেলে তা ফুরিয়ে যায়। লুটিয়ে পড়ে। এর নাম তো দেশপ্রেম নয়। পতাকা হাতে নিলেই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। পতাকা বুকে ধরে মরনের নাম দেশপ্রেম।
লেখক : সাংবাদিক
Advocate: Afsar Ahmed.
Management Editor : Md. Sadek Ahmed Choudhury
Assistant Management Editor : Mahbub Arif
Office: Blue Water Shopping City, 9th Floor (Lift-8), Zindabazar, Sylhet. Mobile: +88 01712-540420, +88 01754-859801, UK: +44 07398709740 Email: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com, naimulislam101@gmail.com Uk: shajidrana@gmail.com Facebook: fb.com/sylnewsbd2017
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি