সিলেট ১৩ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক :: স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে চাচাতো দুই বোন। তাদের সাথে পরিচয় ঘটে পাশের গ্রামের অপর দুই চাচাতো ভাইয়ের। পরিচয়ের সূত্রে চারজনের প্রেমের সর্ম্পক গভীর হয়। পাশের এক জমিদার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধরা প্রেমিক কিশোর মেয়েদের পরিবারের হাতে। এ ঘটনার পর দুই কিশোরকে ধরে মেয়েদের বাড়িতে আটকে রাখলেও গ্রাম্য সালিসে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। পরে ওই দুই বোন বিয়ের দাবিতে করে দুই কিশোরের বাড়িতে অবস্থান নিলে পরিবারের অভিযোগে দুই দিন পর পুলিশ উদ্ধার করে থানায় আনলেও বৃহস্পতিবার তাদের ভবঘুরে সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বোন পড়াশোনা করে স্থানীয় একটি আলীম মাদরাসায়। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক (১৫) ও একই গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৫)এর সাথে দুই বোনোর পরিচয় সূত্রে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। দুই কিশোর পাশের হোসেনপুর উপজেলার হারেঞ্জা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নবম শ্রেণিতে। এদের বেপরোয়া সর্ম্পক নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার পাশপাশি বেশ কয়েকবার সালিস দরবারও হয়। কিন্তু তাদের সর্ম্পকের মধ্যে কোনো ফাটল ধরেনি। এ অবস্থায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি চারজন মিলে বেড়াতে যায় পাশের হোসেনপুর উপজেরার জমিদার মানব বাবুর জমিদার বাড়িতে। দীর্ঘ সময়েও মেয়ে দুইজন বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারে লোকজন খোঁজ করে জানতে পারে দুই মেয়ে দুই কিশোরকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটাচ্ছে ওখানে। পরে সেখানে গিয়ে চারজনকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কিশোরদের ভৎসনা করে মেয়েদের ইজ্জত গেছে ভেবে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে গ্রাম্য সালিসে রাতেই দুই কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় দুই কিশোরী। তারা পরদিন ওই দুই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি করে অবস্থান নেয়। অনেক বুঝানোর পরও কিশোরীদের সরাতে না পেরে বুধবার দুই কিশোরের পক্ষ থেকে জাহিদুলের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করে মেয়ে দুই জনকে সরানোর জন্য। পরে নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহীনুল ইসলাম রাতে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনেন।
তিনি জানান, মেয়েদের জিম্মায় নিতে বেশ কয়েকবার পরিবারের লোকজন ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরে সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সারা না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলায় স্থাপিত মহিলা ও শিশু কিশোরি নিরাপদ হেফাজতিদের ভবঘুরে আশ্রয়নে পাঠানো হয়েছে। পরিবার চাইলে যেকোনো সময় আনতে পারবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এড. আফছর আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি