সিলেট ১৩ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০
অনলাইন ডেস্ক :; বাংলাদেশ সফররত চীনের চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি, কবে পৌঁছবে তাও বলা কঠিন।
বেশি করে কভিড-১৯ পরীক্ষা করার প্রতি জোর দিয়ে তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আগেভাগে শনাক্ত করা জরুরি। তারা নতুন করে সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে মাস্ক পরে পরস্পরের থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, মাস্ক পরলে ৯৫ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. শুমিং জিয়ানইউ ও ডা. ট্যাং লিউহাই রোববার কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাব সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে দু’ সপ্তাহ সফর শেষে আজ সোমবার চীনে ফিরে যাচ্ছে। প্রতিনিধি দল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এদেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে তাদের সুপারিশমালা পেশ করবে।
ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানসহ সংগঠনটির সদস্যরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন। এ সময় ঢাকা চীনা দূতাবাসের উপ প্রধান হুয়ালং ইয়ানও বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি চীনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। লকডাউন অবশ্যই সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ কারণে চীনে উহান সিটিকে অবশিষ্ট অঞ্চল থেকে আলাদা করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারাদেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ অবস্থায় যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়ায়নি ওই স্থানকে সংক্রমণের বাইরে রাখতে পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লকডাউন করা যেতে পারে।
চীনের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘দ্রুত শনাক্ত করা, দ্রুত রিপোর্ট, দ্রুত আইসোলেশন, দ্রুত চিকিৎসা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, এই পরিস্থিতি আরও ২/৩ বছর চলবে কিনা সেটা বলার মত বৈজ্ঞানিক তথ্য তাদের জানা নেই। করোনা শনাক্তে র্যাপিড ডট কিটের পরীক্ষা সমর্থন করেন না চীনা বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্বল মানুষ, বয়স্করা আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি। আবার এটাও ঠিক চিকিৎসা ও নিয়ম মেনে চীনে ১০২ বছর বয়সী নারীও সুস্থ হয়েছেন। তবে সময়মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চীনে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে অবস্থা খারাপ হলে অক্সিজেন দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছুই কঠিন। কারণ এখানে সম্পদ সীমিত। অনেক জায়গায় ল্যাবরেটরি নাই। বাইরে থেকে নমুনা ঢাকায় পাঠানোর পর টেস্ট হয়।
চীনা বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার বিষয়ে হাসপাতালসহ সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এক ধরনের এবং তার বাইরে অন্য ধরনের মাস্কের কথা বলেন।
তাদের মতে, লিফট কিংবা যেখানেই কেউ হাত দেবেন তা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। কিংবা জীবাণুনাশক সঙ্গে রাখতে পারেন। প্লাজমা থেরাপির মতো এন্টিবডি চিকিৎসা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে চীনের বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন।
চীনা বিশেষজ্ঞরা জ্বর, কফের মতো হালকা উপসর্গের ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন না হয়ে বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, চিকিৎসা নেয়ার মাধ্যমে সেরে ওঠা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
চীনা দূতাবাসের উপ প্রধান হুয়ালং ইয়ান বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে চীনের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। ভ্যাকসিন তৈরিতে চীন সক্ষম হলে বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এড. আফছর আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি