সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: 8:59 PM, November 22, 2019
খেলা ডেস্ক :; ১৯ বছর হয়ে গেছে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার, এখনও সাদা পোশাকে ধারাবাহিক হতে পারেনি বাংলাদেশ। ধারাবাহিকতা তো অনেক বড় বিষয়, নূন্যতম টেস্ট মানসিকতাও দেখা যায় না কারও মধ্যে। কিছুদিন আগেই দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের মতো নবীন দলের কাছে টেস্ট হারের লজ্জা পেতে হয়েছিল। আর চলমান ভারত সফরে তো লজ্জার স্তুপ জমা হচ্ছে। ইন্দোর টেস্ট শেষ হয়েছে তিন দিনে, আজ থেকে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টও তাই হতে যাচ্ছে! ঐতিহাসিক টেস্টে গড়া হচ্ছে লজ্জার ইতিহাস!
দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচে আজ মাত্র ৩০.৩ ওভার ব্যাটিং করে ১০৬ রানে অল-আউট হয়েছে বাংলাদেশ! এমন নয় যে ইডেনের পিচ খুব কঠিন ছিল। প্রতিজন ব্যাটসম্যান উইকেটে গিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তিন নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর পর্যন্ত তিন ব্যাটসম্যান ফিরেছেন ‘ডাক’ মেরে! ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো ভারতীয় পেসারদের দেখে ভয় পাচ্ছেন! উল্টাপাল্টা শট খেলছেন। এভাবে বারবার একই ঘটনা দেখার পর বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, তারা নিজের দেশের টেস্ট মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়ানোর দাবি উঠছে দর্শক মহল থেকে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের তথৈবচ অবস্থার কথা সবার জানা। এদেশে একটি তৃতীয় বিভাগের ম্যাচে পর্যন্ত দুর্নীতি-ফিক্সিং হয়ে থাকে! বিসিবি কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট দলগুলো বেশি বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। আম্পায়াররাও তাদের পক্ষেই রায় দেয়। মাঠে খেলা হয় লোক দেখানো। ফিক্সিংয়ের কারণে কোনো প্রতিযোগিতাই হয় না। সেই তথাকথিত স্পিন উইকেট বানিয়ে দেওয়া হয়। পেসাররা কোনোমতে ৫-৭ ওভার করার সুযোগ পান। ব্যাটসম্যানরা খাবি খেতে খেতে রান করেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান পাড়ার ক্রিকেটের চেয়ে খুব একটা উন্নত নয়!
এই ১৯ বছরে একটি টেস্ট দল গঠন করতে পারেনি বাংলাদেশ, যে দলটি স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারে ভরা থাকবে। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নেই তাই পাইপলাইনে ক্রিকেটারও নেই। নতুন প্রতিভা উঠে আসলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুখ থুবড়ে পড়ে। কারণ সে যে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে এসেছে, তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটর আকাশ-পাতাল পার্থক্য। প্রতিবেশি দেশ ভারতে উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামিদের মতো পেসারদের বসে থাকতে হয়, যদি দলে বুমরাহ-ভুবনেশ্বররা আসেন! এখান থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেট কত বছর পিছিয়ে আছে! এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট দেখে জাতীয় দল নির্বাচন করাটাও এখন হাস্যকর!
এখন পর্যন্ত ১১৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ৬টি আবার দুর্বল জিম্বাবুয়ে এবং ৪টি হালের খর্বশক্তি উইন্ডিজের বিপক্ষে। সাকিব-তামিম বিহীন বাংলাদেশ দল ভারসাম্য হারিয়েছে- কারণ পাইপলাইনে ক্রিকেটার নেই। সেই ইমরুল-মিঠুনদের মতো ক্রিকেটারদের বারবার সুযোগ দিতে হচ্ছে- কারণ পাইপলাইনে ক্রিকেটার নেই! সৌম্য-লিটন-সাব্বির-মিরাজ-মুস্তাফিজরা হারিয়ে যাচ্ছেন- কারণ সঠিক পরিচর্যা নেই। এত এত ‘নেই’ এর মাঝেও বাংলাদেশ টেস্ট খেলে চলছে- এটা বড় ব্যাপার বটে! কিন্তু এই জোড়াতালি মার্কা ক্রিকেট আর কতদিন?
Advocate: Afsar Ahmed.
Management Editor : Md. Sadek Ahmed Choudhury
Assistant Management Editor : Mahbub Arif
EDITORIAL
Editorial Advisor : Abdul Latif Nuton.
Mostak Ahmod Polash Chief Editor : Shajidul Islam Rana.
Editor & Publisher : Nazmul Kabir Pavel.
Joint editor: Nurul Islam.
Assistant Editor : Ahmed Hussain Sumon.
Assistant Editor : Ruhul Alam Chowdhury (Ujjol).
Assistant Editor : Md. Sadiq Ahmed.
Office:
17 Gellariya Shoping city (Level-1). Zindabazar, Sylhet.
Mobile: +88 01712-540420, Uk: +44 07398709740
Email: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com, Uk: shajidrana@gmail.com
Facebook: fb.com/sylnewsbd2017
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি