সিলেট ১৩ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২০
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফনিক্স গাড়ি কোম্পানির সামনের এলাকার মারিকুপা এলাকায় ট্রাম্প সমর্থকদের প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি: এপি
মার্কিন নির্বাচনে সময় যত গড়াচ্ছে ততই রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ততই দূর্বল হয়ে পড়েছে। জয়ের পাল্লা ততই ভাড়ি হচ্ছে ডেমোক্র্যাট দলের বাইডেনের।
হতাশ রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক এলাকার ভোটকেন্দ্রের বাইরে তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জায়গায় সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে। কেউ কেউ শটগান ও কেউ হ্যান্ডগান নিয়ে ঘুরছে।
এছাড়া সামরিক কায়দায় সেমি অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। খবর আলজাজিরার।
নির্বাচনের আগে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছেন ৫০ লাখ মার্কিনি
এই প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণে প্রায় ৫০ লাখ মার্কিনি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছেন। এ বছর শুধু মার্চেই বিক্রি হয়েছে অন্তত ২০ লাখ ব্যক্তিগত অস্ত্র। ২০১২ সালের পর দেশটিতে এক মাসে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রির রেকর্ড এটি। বিশ্বজুড়ে সাধারণ জনগণের অস্ত্র মালিকানায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির প্রতি ১০০ বাসিন্দার হাতে ১২০.৫টি অস্ত্র রয়েছে। হাতে হাতে এমন অস্ত্র দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।
রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রেকর্ড হারে বেড়েছে অস্ত্র বিক্রি। দেশটির প্রত্যেক রাজ্যেই আশঙ্কাজনক হারে অস্ত্র কিনছে সাধারণ জনগণ। বিক্রি বাড়ায় ওয়ালমার্ট আমেরিকা নিজেদের স্টোর থেকে সব অস্ত্র ও অস্ত্রজাত সামগ্রী সরিয়ে রেখেছে। সর্বশেষ জনমত জরিপ মতে, বিরোধী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৮ ভাগ এগিয়ে রয়েছেন।
ট্রাম্প যদি পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানান, তবে ক্ষমতার লড়াই আদালতে পর্যন্ত গড়াতে পারে। সেই সঙ্গে রাজপথে সহিংসতাও ছড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প নিজের কট্টর ডানপন্থী ও চরমপন্থী সমর্থকদের যে কোনো মুহূর্তে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। খবর রয়টার্স ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা
নির্বাচন ঘিরে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সহিংসতার বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও।
ট্রাম্প যদি নির্বাচনে হেরে যান তবে তিনি ওভাল অফিস (প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) ছেড়ে যাবেন না। এটি তিনি এরই মধ্যে কয়েকবার গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন তাকে ভোটে কারচুপি ছাড়া হারানো সম্ভব নয়। এটি যদি সত্যিই হয় তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে। তখন সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে। যেটি দেশটিকে ভয়াবহ কোনো পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। এসব সংঘর্ষকে তীব্র রক্তক্ষয়ী করে তুলবে এসব ব্যক্তিগত অস্ত্র।
গত সপ্তাহে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন ও ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট এবং মিলিশিয়া ওয়াচের যৌথভাবে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে।
তাদের প্রতিবেদনে ৯টি গোষ্ঠীকে শনাক্ত করে বলা হয়, ‘প্রাউড বয়েজ, প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার, ওথ কিপার, লাইট ফুট মিলিশিয়া, সিভিলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স, আমেরিকান কনটিনগেন্সি, বোগালো বোয়েসের মতো সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠনগুলো নির্বাচনের আগে-পরে দাঙ্গা ও সহিংসতা বাধাতে পারে। ইতোমধ্যে এসব গোষ্ঠী প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এড. আফছর আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি