সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: 11:47 PM, November 18, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক
টাকা লেনদেনে জনপ্রিয় হওয়ায় দেশে একচেটিয়া ব্যবসা করছে বিকাশ। তবে মানুষের এ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বিকাশ এর নামে সাধারণ মানুষের সাথে অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে সিলেটের কতিপয় বিকাশ ব্যবসায়ী। অভিনব এ প্রতারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। দিনের পর দিন নতুন, নতুন প্রতারণার ফাঁদ বের করছে এই বিকাশ ব্যবসায়ীরা। নানা কৌশলে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। নগরীর নুরুল ইসলাম নিরব ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের বিকাশ দোকানে ফোন করতে গিয়ে অভিনব প্রতারণার শিকার হন।
গত রবিবার রাতে ওই বিকাশ দোকানে ফোন করতে যান নুরুল ইসলাম নিরব। ওই দোকানের ০১৭২৮০৭৩৩৩৩ নাম্বার থেকে আর এক আত্মীয়কে ফোন করে চলে যান। ভোর ৬টায় বিকাশ দোকানের ওই নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয় আপনার ওই আত্মীয় ফোন করে বলেছে ২২০০ টাকা আমাদের নাম্বারে বিকাশ করার জন্য। সরল মনে নুরুল ইসলাম নিরব ২২০০ টাকা বিকাশ করে দেন। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন তার আত্মীয় টাকার জন্য বলেনি বা এমন কোনো খবরও জানেননি তারা।
টাকা লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম ‘বিকাশ’। এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে সিলেটে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট। অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
বিভিন্ন আঙ্গিকে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত এই চক্রের হোতা বা জড়িতদের রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় সংঘবদ্ধ এই চক্রটি অবলীলায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতারণা ব্যবসা।
সম্প্রতি সিলেটে বিকাশ প্রতারণা চক্রের তিন সদস্যকে হাতে-নাতে আটক করেছে র্যাব। এসময় প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের ৭টি মোবাইল সেট এবং বিকাশের ট্রানজেকশন রেজিস্টার জব্দও করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে কথিত বসের নামও। তাছাড়া কিভাবে তারা প্রতারণার ফাঁদ পাতেও সেবিষয়ে বিস্তারিত জানায় তারা।
জিজ্ঞাসাদে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রতারক চক্রের ৩-৪ জনের ১টি দল থাকে যারা বিভিন্ন বিকাশের দোকানে গিয়ে কৌশলে বিকাশের ডেইলী ট্রানজেকশন রেজিস্টার হতে যে যে মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠানো হয় তার ১টি ছবি তুলে নিয়ে যায়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইলে ধারণকৃত ছবিগুলো তাদের কথিত বস নাজমুলের মোবাইলে পাঠায়। পরবর্তীতে কথিত ‘বস’ ওই নাম্বারে ১টি ভূয়া মেসেজ পাঠায় যাতে মোবাইল ইনবক্সের মেসেজে টাকার পরিমাণ দেখানো হয় কিন্তু বিকাশ একাউন্টে কোনো টাকা জমা হয় না, যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না।
পরবর্তীতে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে আপনার মোবাইলে ভুলে দুইবার টাকা চলে গেছে এবং এই বলে টাকা ফেরত চায়। সাধারণ মানুষ সরল বিশ্বাসে টাকা ফেরত দেয় এবং পরবর্তীতে যখন দেখে যে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা চলে গেছে তখন বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ক্যাশ আউট, মানি ট্রানজেকশন, সেন্ড মানি, পেমেন্ট শব্দগুলোর সাথে সাধারণ মানুষ অবগত না হওয়ায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চক্রটি প্রতারণা করছে। অতি কৌশলে কাজটি সম্পন্ন করে চক্রটি। প্রতারক চক্রটি সিলেটসহ ঢাকা ও বিভিন্ন শহরে তাদের প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রেখেছে।
Advocate: Afsar Ahmed.
Management Editor : Md. Sadek Ahmed Choudhury
Assistant Management Editor : Mahbub Arif
EDITORIAL
Editorial Advisor : Abdul Latif Nuton.
Mostak Ahmod Polash Chief Editor : Shajidul Islam Rana.
Editor & Publisher : Nazmul Kabir Pavel.
Joint editor: Nurul Islam.
Assistant Editor : Ahmed Hussain Sumon.
Assistant Editor : Ruhul Alam Chowdhury (Ujjol).
Assistant Editor : Md. Sadiq Ahmed.
Office:
17 Gellariya Shoping city (Level-1). Zindabazar, Sylhet.
Mobile: +88 01712-540420, Uk: +44 07398709740
Email: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com, Uk: shajidrana@gmail.com
Facebook: fb.com/sylnewsbd2017
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি