সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০২২
সিলনিউজ বিডি ডেস্ক :: চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। প্রতি বছরের মতো এবারও ফলের এ ভরা মৌসুমে সিলেটের হাট-বাজারে রকমারি ফল আসতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে মৌসুমী ফলে সাজিয়েছেন দোকান। আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুর মিষ্টি গন্ধে ম ম করছে সিলেটের বাজারগুলো।
তবে বাজারে ফলের ছড়াছড়ি থাকলেও দামে নেই স্বস্তি। মৌসুমের শুরুতেই ফলের চড়া দামে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ক্রেতা সাধারণ। উচ্চ বা মধ্যবিত্তরা পারলেও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভরা মৌসুমেও ফল কেনা যেন রীতিমতো স্বপ্নের মতো। ফল কিনে খেতে গেলে পাতে আর জুটবে না ভাত।
দাম বেশির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন- প্রায় সকল ধরণের ফলই তাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
সাধাণর মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তারা এমনিতেই বিপাকে। তার উপর ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ফল। প্রয়োজনীয় পুষ্টি-চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না ফলের দাম অতিরিক্ত হওয়ার কারণে। কেনার আগ্রহ নিয়ে অনেকে বাজারে গেলেও দাম শুনে মলিন মুখে খালি হাতে বাজার থেকে ফিরে আসছেন ঘরে।
সিলেটের বাজারে ফলের ক্রেতা কম থাকায় বিক্রেতারাও একটু বিপাকে। নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় কয়েকজন ফল বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ক্রেতা সংখ্যা আশানুরূপ না হওয়ায় তারা খানিকটা হতাশ।
মঙ্গলবার (৩১ মে) নগরীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটে ‘আমরূপালী’ জাতের আমই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ জাতের আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।
অন্যান্য বছর সিলেটে লিচু বেশি আঁটি হিসেবে বেশি বিক্রি হলেও এবার কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি কেজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা। মাঝে-মধ্যে আঁটি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ৫০টি লিচুর আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।
মৌসুমী ফলের মধ্যে সব থেকে বেশি চড়া দাম জামে । বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের এ ফলটি বাজারে আসার শুরুতে আড়াই শ টাকা কেজি হাঁকতেন বিক্রেতারা। বিক্রি করতেন এ দামে। তবে এখন ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে জাম।
কাঠাল আকারভেধে ১৫০-২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, আনারসের হালি আকার অনুযায়ী ১০০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রসে ভরা আরেকটি ফল তরমুজ। সেটি এখন বাজারে কম পাওয়া যাচ্ছে তাই দাম বেশি। ছোট আকারের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা। আর বড় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা।
অন্যান্য ফলের মধ্যে পেয়ারার কেজি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর বিদেশি ফল ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি।
সিলেটের মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা জনি তালুকদার মঙ্গলবার বিকেলে বন্দরবাজার থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পেয়ারা কিনছিলেন। আলাপকালে তিনি বলেন, বাজারে ফলের দাম খুব চড়া। যার কারণে চাহিদা অনুযায়ী ফল কিনতে পারছেন না। ২ কেজি পেয়ারা কেনার ইচ্ছা থাকলেও দাম বেশি থাকায় ১ কেজি কিনেই বাসায় যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাড়তি দামের কারণে পুষ্টিকর মৌসুমী সব ফল কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
নগরীর সুবিধাবাজার এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া জানান, তিনি অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে চাচ্ছিলেন জাম কিনতে। কিন্তু জামের কেজি ২০০ টাকা শুনে হতভম্ব হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বছর মৌসুমের শুরুতে জামের কেজি বেশি থেকে বেশি ১২০ টাকা থাকতো। কিন্তু এ বছর যেন জামের দামে আগুন!
সবুজ মিয়া আরও বলেন, আমরা না হয় একটু হলেও পরিবারের সদস্যদের ফল খাওয়ার চাহিদা পূরণ করতে পারবো। কিন্তু যারা নিম্ন আয়ের তাদের তো নুন আনতেই পান্তা ফুরায় অবস্থা। তারা কী করে এত দাম দিয়ে ফল কিনবে!
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো ফলের দোকান ও ভ্রাম্যমাণ ফল বিক্রেতার ভ্যান ঘুরে দেখা যায়, রকমারি ফলের পসরা সাজানো থাকলেও অতিরিক্ত মূল্যের কারণে ক্রেতাদের সমাগম খুব কম। তাছাড়া দু-একজন দাম জিজ্ঞাসা করেই চলে যাচ্ছেন। দাম বাড়তি থাকার কারণে এখনও সিলেটে জমে উঠেনি মৌসুমী ফলের বেচা-কেনা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি