‘আমার বউ-মেয়ে সব শেষ, আমার আর কেউ নাই রে’

প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২১

‘আমার বউ-মেয়ে সব শেষ, আমার আর কেউ নাই রে’

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল এলাকা। এ ঘটনায় আহতদের রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর দেখে হাসপাতালে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন অনেকে।

শিশুকন্যা সুবাহানা এবং স্ত্রী জান্নাতকে হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন সুজন। জরুরি বিভাগে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে বারবার তিনি বলছিলেন, ‘আমার বউ-মেয়ে সব শেষ। আমার আর কেউ নাই রে, তোরা কে কোথায় আছোস হাসপাতালে আয়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজন জানান, বিকালে স্ত্রী জান্নাত মোবাইলে তাকে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুবাহানা ও ছোট ভাই রাব্বিকে নিয়ে মগবাজারে শর্মা হাউজে কর্মরত এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা আর ফিরল না।

সুজন ঢাকার মগবাজারে রমনা ফার্মেসিতে কাজ করেন। ফার্মেসি থেকে একটু দূরেই সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়, সুজন জরুরি বিভাগের সামনে আহাজারি করছেন। তিনি শুরুতে গিয়েছিলেন মগবাজারের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে মেয়ে সুবহানার লাশ পান। হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখেই সুজন ছোটেন স্ত্রীর খোঁজে। তাঁর লাশ পান ঢাকা মেডিকেলে।

ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে মেঝেতে লুটিয়ে আহাজারি করতে করতে সুজন বারবার বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ, আর কিছু রইল না। আমার আর বেঁচে থেকে কী হবে।’

স্বজনেরা জানান, সুজন স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বড় মগবাজার এলাকায়। দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। কয়েক দিন আগে তাঁর শ্যালক রাব্বি বাসায় বেড়াতে আসে। গতকাল বিকেলে স্ত্রী জান্নাত তাঁর ভাইকে নিয়ে মগবাজারে শরমা হাউসে যাওয়ার কথা বলেন। এ জন্য সবুজের কাছ থেকে টাকাও নেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
15161718192021
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ