কোথায় গেল রাশিয়া চীনের সমাজতন্ত্র

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২২

কোথায় গেল রাশিয়া চীনের সমাজতন্ত্র

 

খায়রুল কবীর খোকন ::

বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার যে একটা সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ছিল তার পুনরুত্থান কি আর সম্ভব? না, আপাতত একেবারেই নয়। এ জবাবটা পাওয়া গেছে আমাদের ঋষিতুল্য শিক্ষক ও প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে। জুনের শেষ দিকে তাঁর এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে একটা প্রথমসারির বাংলা দৈনিক পত্রিকা। ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যিনি এ দেশের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের একজন সেরা পণ্ডিত শিক্ষক, তাঁকে আমরা ‘সিক’ স্যার বলেই জানি। তিনি তাঁর সাতাশিতম জন্মদিন উপলক্ষে এ সাক্ষাৎকারটি অগ্রিম দিয়েছিলেন পত্রিকাটির একজন সাংবাদিককে। সিক স্যার অত্যন্ত হতাশা ও বেদনার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন যে, এখন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ একেবারেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে আর বুদ্ধিজীবীরা এখন প্রলোভন ও ভয়ের শিকার। আরেকটা সত্য- স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের মাধ্যম আগের মতো নেই, খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে সেসব মতই প্রকাশ করা যায় যা মালিক ও সরকারের পছন্দ, বিরুদ্ধমতের জায়গা খুবই কম। তাঁর এ কথাগুলো যে শতভাগ সত্য তাতে আমাদের কারও দ্বিমত থাকার প্রশ্নই আসে না। তিনি সমাজতন্ত্রের একনিষ্ঠ সাধক বুদ্ধিজীবী- সারা বিশ্বে পুঁজিবাদের বিকাশে যে দুর্বৃত্তায়নের সমাজ ও রাষ্ট্র জেঁকে বসেছে তার বিরুদ্ধে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তরুণসমাজকে এগিয়ে এসে বিদ্রোহ করার উপদেশ দিয়েছেন। সিক স্যার আমাদের দেশের তথা সারা বিশ্বের তরুণসমাজের মধ্যে বেকারত্ব, হতাশা, ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তির মস্তানি, মাদকাসক্তি, নানান আকারের নির্বুদ্ধিতার আগ্রাসন এবং সবকিছুতে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আঁকড়ে থাকার অভিযোগ করেছেন অত্যন্ত বেদনাহত চিত্তে। দেশের বাম রাজনৈতিক বলয়ে যথোপযোগী রাজনীতিচর্চার ব্যাপারে হতাশাজনক চিত্রের কথাও তিনি বলেছেন অতি গুরুত্বের সঙ্গে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সিক স্যার তাঁর ৮৬ বছরের জীবনে যে বিশাল অধ্যয়ন করেছেন বিশ্বরাজনীতির ওপরে তার লাখো ভাগের এক ভাগও আমাদের মতো সামান্য মেধার রাজনৈতিক কর্মীর পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবু কিছু কথা সাহস করে বলতে চাই, কারণ, তিনি যে পাঠকদের জন্য কোটি কোটি শব্দ উচ্চারণ করে চলেছেন তার একজন সাধারণ পাঠকও তো আমি এবং আমাদের মতো লোকজন।

আজকের বিশ্বরাজনীতির বাস্তবতায় আমরা কী দেখি সমাজতন্ত্রের সূতিকাগার বলে পরিচিত রাশিয়া ও চীনে? আদৌ কি সমাজতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও আছে একদা সমাজতন্ত্র লালিতপালিত ওই রাষ্ট্র দুটোতে? পুঁজিবাদের নগ্ন রূপ যা বিশ্বকে সবচেয়ে বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেসব বিশ্বস্ততার সঙ্গে লালনপালনে চীন বা রাশিয়া কেউ কি এতটুকু পিছিয়ে আছে? কেন নেই? সমাজতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে বর্তমান শিল্পায়নের যে রাষ্ট্র ও সমাজ চীন এবং রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কি তার নিজ নিজ বিপুল জনগোষ্ঠীর খাওয়া-পরার নিশ্চয়তা বিধানের সহজ সমাধান পথ খুঁজে নেওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত নয়! তা ছাড়া চীনের তথাকথিত সমাজতন্ত্রী নেতারা কি ভোগবিলাসের মধ্যে ডুবে নেই? তাদেরই জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে প্রায়-দুর্ভিক্ষপীড়িত দশায় দিনাতিপাত করছে, মানবেতর জীবনযাপনে তারা দিশাহারা। তাদের ওপে চীনা কমিউনিস্ট সরকারের নানা অত্যাচার-অনাচারের কাহিনি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থা চীনের ১৪৪ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন হয় যে বিপুল অর্থ খরচের জাঁকজমকের মধ্যে সেটা কোন সমাজতন্ত্র? একটা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে সব পুঁজিবাদী মানুষকে দিয়ে শিল্পকারখানা করে পুঁজিবাদী শোষণ শতভাগ বলবৎ রেখে তার পরে বলা হচ্ছে, ‘আমরা আমাদের দেশবাসীর জন্য সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছি এবং তা-ই পুঁজিবাদী বিশ্বের ঈর্ষাকাতরতার কারণ।’ চীনের ভিতরে অগণন কোটিপতি পুঁজিবাদীর অসম্ভব রকমের বিলাসী জীবনযাপন আর মানুষ শোষণ করে নিজেদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ও শিল্পকারখানা গড়ে তোলা এটা কোন সাম্যবাদ কায়েম?
সুহৃদ পাঠক, একইভাবে ভাবুন রাশিয়ার অবস্থা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছেলেমেয়েরা লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার সমমানের অর্থসম্পদের মালিক। অনেকের মতে, সেই অর্থসম্পদের মূল্যমান নাকি বাংলাদেশি টাকার অঙ্কে প্রায় ৮ লাখ কোটি। পুতিন নিজ ওয়াশরুমে যে কমোড ব্যবহার করেন সেটি পুরো সোনার পাতে মোড়ানো এবং কমোডটির বর্তমান বাজারদরে মূল্য বাংলাদেশি টাকায় আড়াই কোটি। বোদ্ধা পাঠক, একবার ভাবুন তো বাংলাদেশে সবচেয়ে বিলাসী কমোড যা পাওয়া যায় তার দামও তো অবশ্যই ২ লাখ টাকার নিচে। বিলাসিতার চরমে গেলেও পুতিন একটা ৫ লাখ টাকা দামের পোরসেলিন-কমোড ব্যবহার করতে পারতেন! না, তাঁর সোনায় মোড়ানো কমোড যা আড়াই কোটি টাকা মূল্যের তা না হলে তিনি কেমন সাম্যবাদী নেতা! একবার যদি প্রশ্ন করা হয়- রাশিয়ার কোটি কোটি মানুষ তো সর্বোচ্চ মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার এবং রোগের চিকিৎসায় যথাযথ ওষুধপথ্যই জোটাতে পারে না, সেই দেশে পুতিনের প্রাসাদ, তাঁর গাড়ি আর প্রাইভেট বিমান দেখলে যে-কারোরই মাথা ঘুরে যায়। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানসিকতার মানুষ তো পুতিন আর শি জিন পিং কিংবা উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের বিলাসী জীবনের মধ্যে সমাজতন্ত্রের কোনো চিহ্নই দেখতে পায় না। কিউবা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সেখানে এসব অভিযোগ নেই। তবে সে দেশে শিল্পায়ন ব্যাহত হওয়া এবং দীর্ঘ চার-পাঁচ দশকের সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের লড়াইয়ের সময়ে গণমানুষের সামান্যতম উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ তো সবারই জানা। তার পরে পশ্চিম বাংলায় সত্তর-আশি-নব্বই দশকে দীর্ঘ ২৩ বছর টানা সাম্যবাদী রাজনীতির লোকজনকে দেশ শাসনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেই রাজ্যের মানুষ দীর্ঘকালের রাজনৈতিক প্রগতিবাদী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়েছিল। স্রেফ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সফল ভোটব্যবস্থার মাধ্যমেই সেখানে ‘কমিউনিস্ট শাসন’ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। হ্যাঁ কপাল! সেখানে শিল্পায়নে চরম ব্যর্থতার ফলে এই সাম্যবাদী রাজনীতিকদের শাসনের আপনাআপনি অবসান ঘটল এবং একটা নিন্দাবাদ কুড়াল- কমিউনিস্ট রাজনীতিকরা আসলেই শিল্পায়ন ও গণমানুষের সত্যিকার উন্নয়নের ব্যাপারটি একেবারেই বুঝতে অক্ষম, মানে চূড়ান্ত ব্যর্থ। আমাদের বাংলাদেশে ১৯৭২-পরবর্তী সরকার এসে ভারী শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয় দখলে নিয়ে ‘রাষ্ট্রায়ত্তকৃত’ ঘোষণা দিয়ে এক ধরনের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা কায়েমের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত সেই শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থাপনা চরম অব্যবস্থাপনায় ডুবে গিয়ে কয়েক বছরের মধ্যেই সেই শিল্পকারখানাগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। সেগুলোর বেশির ভাগ বাধ্য হয়ে পরে শিল্পপতিদের কাছে ছেড়ে দিলে অনেকটি ভালো অবস্থায় ফিরে আসে। তাতে প্রমাণ হয়, এরকম রাষ্ট্রীয় আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় কোনোরকম সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার শিল্পোৎপাদন ব্যবস্থাপনা সফল করা প্রায় অসম্ভব। এটা খুবই সহজ-সরল কথা- একজন শিল্পোদ্যোক্তার মধ্যে প্রচণ্ড পরিশ্রমে নিজের মেধা ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নিজের শিল্পকারখানার উৎপাদন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে অধিকতর সুখে-শান্তিতে বাস করতে পারার গ্যারান্টি সৃষ্টির ভিতরে তৈরি হয় তার এক বিশাল স্বপ্ন- সেই স্বপ্ন কোনো আমলা পরিচালকের মধ্যে থাকতেই পারে না, তা একেবারেই অসম্ভব। সে ধরনের আমলা পরিচালকরা হন ভাড়াটে কর্মচারী, তাদের মধ্যে শিল্পকারখানা পরিচালনার ভার দখলে নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ভোগবিলাসে ডুবে যাওয়াই হয় জীবনের লক্ষ্য। এটি শতভাগ ক্ষেত্রেই সত্য।

এখানেই সিক স্যারের ‘সমাজতন্ত্র কায়েমের স্বপ্ন বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন’ বলে প্রমাণিত হয়ে গেছে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কোনো দেশে পুরো কায়েম হয়ে গেলে সে দেশে তো পুঁজিবাদী বিনিয়োগকারীর অস্তিত্বই থাকবে না, ফলে নতুন নতুন শিল্প বিনিয়োগ হবে কীভাবে? কে করবে- রাষ্ট্র? রাষ্ট্রের আমলাদের সেই দায় আছে? সেই ভাবনা ভাবার মতো অধ্যয়ন আছে, স্বপ্ন আছে, সময় দেওয়া, পরিশ্রম করার মতো মনমানসিকতা আছে? বলা হয়, পুঁজিবাদী বিনিয়োগকারীরা শিল্প বিনিয়োগ করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুপ্রতিষ্ঠিত করার পর সেগুলো সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সাম্যবাদী (কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী) রাজনীতিকরা দখলে নেবে এবং তা দিয়ে শিল্পোৎপাদন অব্যাহত রেখে রাষ্ট্রের উৎপাদন, বেকারদের কর্মসংস্থান এবং রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির আয়ের মূল উৎস হিসেবে দাঁড় করাবে। এ বোঝাটাই তো ভুল। মারাত্মক ভুল। সারা বিশ্বে যদি একটার পর একটা রাষ্ট্র এ পদ্ধতিতে বিপ্লব সফল করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিবর্তিত হতে থাকে তাহলে বড়জোর তিন বা চারটি রাষ্ট্র এ পদ্ধতিতে নতুন করে ‘সমাজতান্ত্রিক’ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য সব রাষ্ট্রে পুঁজিবাদী বিনিয়োগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এমন গাধা পুঁজি বিনিয়োগকারী ও শ্রমশীল শিল্পোদ্যোক্তা কোথায় পওয়া যাবে যে, নিজের সব সঞ্চয় ও বিশাল ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে একান্ত নিজস্ব-স্বপ্ন সফল করার কাছাকাছি নিয়ে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের পায়ের কাছে সমর্পণ করে নিজে ঘরে ঢুকে বসে থেকে সপরিবারে দীনহীন জীবনের অভিশাপ স্বেচ্ছায় বরণ করে নেবেন?

আর সারা দুনিয়ার নিয়ন্তা এখন পুঁজিবাদী বিশ্ব- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাজতন্ত্র-রাষ্ট্রগুলো, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বা ফিলিপাইনস, থাইল্যান্ড বা ব্রুনেই দারুসসালাম প্রভৃতি রাষ্ট্র একের পর এক সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্যবাদী রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করে যাবে সেটা একেবারেই ‘উন্মাদের প্রলাপ’ ছাড়া আর কিছুই নয়। সিক স্যার সৎ, আত্মত্যাগী, মানবিক, মানবতাবাদী, বিশ্বকল্যাণবাদী এক অসামান্য বুদ্ধিজীবী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বর্তমান পুঁজিবাদী বিশ্বরাজনীতির বাস্তবতায় তাঁর ওই সমাজতন্ত্র কায়েমের স্বপ্ন একেবারেই অবাস্তব প্রমাণিত হতে বাধ্য। আমাদের বিশ্বে দরকার লাখ লাখ এন্টারপ্রেনার যারা শিল্পোদ্যোগে এগিয়ে আসবেন এবং কল্যাণরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি শতভাগ ধারণ করে ওইসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ মানের পারিশ্রমিক ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন, শ্রমদানকারীদের স্বাস্থ্যক্ষয়ের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করবেন। তাতেই শিল্পোদ্যোক্তার স্বপ্ন সফল করার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের ন্যায়সংগত পারিশ্রমিকের পাওনা নিশ্চিত করে দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব কায়েম সম্ভব। এবং উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে সেই ব্যবস্থা কায়েম হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। আমরা তো চোখেই দেখতে পাচ্ছি- জাপানে, আমেরিকায় বা অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোয় একেকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা শ্রমিক কি বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিক আয় করছেন এবং ১০-১৫ বছর কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অচিরেই নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্যোগ নিতে পারছেন। নিজস্ব সঞ্চয় ও ব্যাংক-ঋণের অর্থ তার পেছনে পর্যাপ্ত সমর্থন জোগাচ্ছে। এর মধ্যেও সিক স্যারের ভাষায় যে পুঁজিবাদী অপসংস্কৃতি, মানবিক মূল্যবোধের ধস নামতে পারে, সেসবের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে দুনিয়াব্যাপী।

লেখক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসু সাধারণ সম্পাদক

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ