গোয়াইনঘাটে মা-ছেলে খুন : মামলা দায়ের, কারাগারে ১৫ আসামি

প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২২

গোয়াইনঘাটে মা-ছেলে খুন : মামলা দায়ের, কারাগারে ১৫ আসামি

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়ানইঘাটে পূর্ব শত্রুতার জেরে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত ১৫ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। চাঞ্চল্যকর এ দুটি হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালালে গ্রেফতার আতঙ্কে দক্ষিণ লাবু গ্রাম পুরুষ শূন্য রয়েছে।

বুধবার (২০ জুলাই) এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন আব্দুল খালিক। তিনি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়া আব্দুল কাদিরের বাবা ও একই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হওয়া হাসিনা বেগমের স্বামী।

জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোয়ানইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলার বাদী আব্দুল খালিকের বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে পরিবারের সবাইকে কোপানোর নৃশংস ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে আব্দুল খালিকের ছেলে আব্দুল কাদিরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর গত রোববার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নিহত কাদিরের মা হাসিনা বেগম। এ ঘটনায় বুধবার (২০ জুলাই) গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন আবদুল খালিক। তিনি ৭৫ জনের নাম উল্লেখ আরও ৪০/৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে ব্যক্তিকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পূর্বেই পুলিশ সিলেটের একাধিক স্থানে অভিযানে চালিয়ে ১৫ জন গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে প্রেরণকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এজহারভুক্ত আসামী রয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন গোয়াইনঘাটের থানা অফিসার ইনচার্জ কে.এম নজরুল। তিনি জানান, মামলা দায়ের’র পূর্বেই আমরা ১৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এরমধ্যে কয়েকজন রয়েছেন এজহারভূক্ত। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে- গ্রেফতার আতঙ্কে দক্ষিণ লাবু গ্রাম পুরুষ শূন্য রয়েছে। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও পুলিশ সর্তক আছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত- চার বছর আগের একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় আবদুল কাদির, তার বাবা আবদুল খালিক ছাড়াও একই গ্রামের আতাফুল, শামসুদ্দিন, লুৎফুরসহ কয়েকজনকে। এ মামলার খরচ চালানো হতো সম্মিলিতভাবে, এর সমন্বয় করতেন আবদুল কাদির ও তার বাবা।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় অন্য আসামিদের। পরে রাতে হঠাৎ করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে গ্রামের শতাধিক লোক আবদুল কাদিরের বাড়ি ঘেরাও করে। ভয়ে পরিবারে সবাই ঘরে লুকালে সেই ঘরের চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে খালিকের ছেলে কাদির ও হাসপাতালে তার স্ত্রী হাসিনা মারা যান।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ