চা উৎপাদনে রেকর্ড

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২২

চা উৎপাদনে রেকর্ড

সাকিব আহমেদ :: চা একসময় ছিল দেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে চা উৎপাদন বেড়েছে ব্যাপক হারে। তবে দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ায় রপ্তানি ক্রমান্বয়ে সীমিত হয়ে পড়েছে। আশার কথা, ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছে। ১৬৭টি চা বাগান ও ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ খাত থেকে উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজির বেশি চা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন। যদিও এ সময় ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। বছরের শেষ দিকে তীব্র শীতে উৎপাদন কিছুটা কমে যাওয়ায় সে সম্ভাবনা আর বাস্তবায়ন হয়নি। কভিড পরিস্থিতিতেও দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি। ২০২০ সালে করোনা সংকট সত্ত্বেও ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়। তবে গত বছর নিকট অতীতের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন বাগান মালিক ও ক্ষুদ্র চা চাষিরা। চা বাগানের পাশাপাশি চা উৎপাদনে এবারও সফলতা দেখিয়েছেন সমতলের চাষিরা। ২০২০ সালে উত্তরাঞ্চলের সমতলীয় ক্ষুদ্র চাষিরা উৎপাদন করেন ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা। আর ২০২১ সালে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। বাগান ও সমতলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক চা উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি চা রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করবে। চা শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নেও তা অবদান রাখবে।

সিলনিউজ বিডি / ২২ জানুয়ারি

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ