‘তুর্কি পণ্য বয়কটের’ মধ্যে সৌদি বাদশাহকে এরদোগানের ফোন

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০

‘তুর্কি পণ্য বয়কটের’ মধ্যে সৌদি বাদশাহকে এরদোগানের ফোন

অনলাইন ডেস্ক

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।

শনি ও রোববার সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। এ সম্মেলন শুরুর আগের দিন শুক্রবার বিকালে সম্পর্ক ও মতবিনিময় করতে ফোন করা হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। তুরস্ক ও সৌদি আরব উভয়ই জি-২০ জোটের সদস্য।

আলজাজিরা জানিয়েছে, ফোনালাপে এরদোগান ও সালমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও কয়েক বছর ধরে চলা দুই দেশের মধ্যকার বিভিন্ন মতানৈক্য দূর করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

সৌদির পক্ষ থেকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য তুরস্ককে অনুরোধ করা হয়। এতে সাড়া দিয়ে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সম্মেলনে বক্তব্য দেন এরদোগান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি-তুরস্ক সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। একাধিক ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ দুটির অবস্থা একেবারে বিপরীত মেরুতে। এমনকি সৌদি আরব তুরস্কের পণ্যের ওপর অলিখিত বয়কট জারি করে রেখেছে। তুরস্কে ভ্রমণে যেতেও নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

দেশটির সুপারশপগুলো থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে তুর্কি পণ্য। এছাড়া তুরস্কের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই শীর্ষ মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা কথা বলেছেন এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। তবে দেশ দুটির সম্পর্ক এই ফোনালাপেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনটি বলা যাচ্ছে না।

কারণ, জামাল খাশোগি হত্যায় ২৪ নভেম্বর তুরস্কে কয়েকজন সৌদি সরকারি কর্মকর্তার বিচার শুরু হতে যাচ্ছে। ওই কর্মকর্তারা যুবরাজ মুহাম্মদের খুবই ঘনিষ্ঠ। সালমান-এরদোগান ফোনালাপের পর সম্পর্কের বরফ কতটুকু গলে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

সৌদি আরবের সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পেছনে সবচেয়ে গুরুতর ইস্যু হচ্ছে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যা।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে গোটা বিশ্বেই সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। তবে তুরস্কের মাটিতে ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় সেখানে তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে হয় মতবিরোধ।

এছাড়া সৌদি আরবের অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ করতে চায় তুরস্ক। দেশটির নেতা এরদোগানের মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয়তা এবং সৌদি প্রভাবশালী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সমালোচনা ও ইহুদি-প্রীতিতে মুসলিম বিশ্বে সৌদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়।

ধারণা করা হয়, এমবিএসের মধ্যস্থতায় আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ইসরাইল।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ