নববর্ষের আগেই আয়ারল্যান্ডে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০

নববর্ষের আগেই আয়ারল্যান্ডে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে

অনলাইন ডেস্ক ::
নববর্ষের আগেই আয়ারল্যান্ডে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ডোনেলি।

এজন্য ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) অনুমোদন পেতে হবে। আইরিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইএমএ অনুমোদন দিলে নতুন বছরের আগেই ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু হতে পারে। তবে প্রাথমকিভাবে সেটি হবে খুবই ছোট পরিসরে।

সম্ভব হলে আগের নির্ধারিত সময়ের ৮ দিন আগে ২১ ডিসেম্বরেই ফাইজার ও বায়োনটেকের ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইএমএ। শুরুতে ইএমএ কর্তৃক ভ্যাকসিন অনুমোদনের সময়সীমা ছিল ২৯ ডিসেম্বর।

তবে ২১ ডিসেম্বরকে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজও অন্তত এক সপ্তাহ আগে শুরু হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সংস্থাটি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর পাঠানো তথ্য-উপাত্ত নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে তাদের হিউম্যান মেডিসিন কমিটি।

এক বিবৃতিতে ইএমএ বলেছে, এগুলো মূল্যায়নের ফলাফল নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। যেখানে সম্ভব হলে এ বিষয়টি সম্পর্কে উপসংহারে পৌঁছানো হবে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের পরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী নববর্ষের আগেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন।

এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ডোনেলি জানিয়েছেন, দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি তিনটি ধাপে পরিচালিত হতে পারে। প্রাথমিক ধাপের পর অনুষ্ঠিত হবে বিস্তৃত পরিসরের দ্বিতীয় ধাপ, আর সব শেষে হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। আর ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা এবং সম্মুখভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা- যারা সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে আসেন।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের হেলথ প্রোডাক্ট রেগুলেটরি অথরিটির প্রধাননির্বাহী ড. লোরাইন নোলান বলেছেন, ইএমএ যদি ২১ ডিসেম্বর ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তবে কয়েক দিনের মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে ভ্যাকসিন বাজারজাতকরণের অনুমোদনও পাওয়া যাবে। সেটি ২৩ ডিসেম্বরও হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ভ্যাকসিনেশন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান প্রফেসর ব্রায়ান ম্যাক ক্রেইথ বলেছেন, টিকাদানকারীদের জন্য ৭ থেকে ১০ দিনের একটি প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। তবে সিএমএ অনুমোদন ও শর্তসাপেক্ষে বাজারজাতকরণের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত সেটি হবে না।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. টনি হোলোহান সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভ্যাকসিন এলেও রোগের বিস্তার কমছে না। রোগের গতিপথের ওপর ভ্যাকসিনের প্রভাব পড়তে কয়েক মাস লাগবে। এ সময়টাতে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের সব কিছুই করতে হবে।
২০২১ সালের শুরুতেই সরকার সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে বলে তিনি জানান। তাছাড়া প্রথম দিকে খুবই অল্প পরিমাণে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ফাইজার-বায়োনটেকের প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে বেলজিয়ামে। আর আয়ারল্যান্ডে এগুলো এনে রাখা হবে ডাবলিনের সিটি ওয়েস্টের কেন্দ্রীয় হিমাগারে। যেখানে ইতোমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অতিরিক্ত তাপমাত্রার রে‌ফ্রিজার বসানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ