কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাটে প্রবাসীর সাথে প্রতারণা করে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে ইসলাম উদ্দিন নামের এক মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পাশর্^বর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউপি’র রহা গ্রামের মৃত আজিদ মিয়ার পুত্র। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় কানাইঘাট থানার এসআই সজল কৌশলী ফাঁদে ফেলে তাকে চতুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। জানা যায় কানাইঘাট পৌরসভার নন্দিরাই গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র সৌদি আরব প্রবাসী জামাল উদ্দিন ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে মসজিদের ইমাম ইসলাম উদ্দিন আত্মসাত করেছেন, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এমন অভিযোগ করে গত ৫ জানুযারী কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং ৫ তাং ০৫/০১/২০২১ইং। মামলা সূত্রে জানা যায় ২০১২ইং থেকে ২০১৯ইং পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ বছর মাওলানা ইসলাম উদ্দিন কানাইঘাট পৌরসভার নন্দিরাই পশ্চিম জামে মসজিদে ইমামতি করেন। ইমামতি করা কালীন সময়ে তিনি সৌদি আরব প্রবাসী ঐ মহল্লার জামাল উদ্দিনের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তিনি বালু পাথরের ব্যবসা করার জন্য প্রবাসী জামাল উদ্দিনের কাছে প্রস্তাব করেন। এবং ধীরে ধীরে তাকে কৌশলে আকড়ে ধরার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ দীর্ঘদিন মসজিদে ইমামতির সুবাদে তিনি প্রবাসী জামাল উদ্দিনকে কাবু করে ফেলেন। এতে ইমাম ইসলাম উদ্দিন তার নিকট আত্মীয় জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউপি’র রনি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র আমির আলীকে ব্যবসায়ী পাটনার করে প্রতারণার মাধ্যমে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয়। এর কিছুদিন পর ইমাম ইসলাম উদ্দিন মহল্লার মসজিদ থেকে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে প্রবাসী জামাল উদ্দিন জানান তার রোজগারের এ টাকাগুলো ইসলাম উদ্দিনের কাছ থেকে তিনি কিছুতেই উদ্ধার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন। এর পূর্বে তিনি ইমাম ইসলাম উদ্দিনের নিজ ইউপি ডৌবাড়ির চেয়ারম্যান বরাবরে মামলা করেছেন। এতে প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের রেওয়াজ অনুযায়ী সেখানকার চেয়ারম্যান স্থানীয় শালিসগণ নিয়ে একাধিক শালিস বোড বসালেও ইমাম ইসলাম উদ্দিন কোন শালিসে সাড়া দেননি। যার কারনে সেই শালিসের রায়ও প্রবাসী জামাল উদ্দিন পেয়েছেন। কেবল মাত্র মসজিদের ইমামের কারনে তিনি একদিন বিষয়টি নিরবে সহ্য করেছিলেন। এখন আর কোন উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি তার উপযুক্ত প্রমাণাদি সহ মামলা দায়ের করেছেন।