ফের বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২১

ফের বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :: করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর বেড়ে চলা পণ্যমূল্যের কারণে বিপাকে পড়া মানুষকে আরও বেশি খরচ করতে হবে খাদ্য তৈরিতে। কারণ, খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়তে যাচ্ছে। খোলা ও বোতলজাত উভয় ধরনের সয়াবিনের দাম লিটার প্রতি ৭ টাকা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত কত বাড়বে, তার চাবি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির হাতে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব তৈরি করেছে, তাতে এক লিটার খোলা সয়াবিন বাজারে বিক্রি হবে ১৩৬ টাকা। অনুরূপভাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হবে ১৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম পড়বে ৭৬০ টাকা। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ও চিনি ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব তৈরি করা হয়। তবে গত ১৪ অক্টোর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর ঘোষণায় চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।

চিনির ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোয় কেজিপ্রতি দাম কমবে সাড়ে তিন টাকা। কিন্তু শুল্ক প্রত্যহারের সুবিধা বাজারে সহসাই পড়বে না। কারণ শুল্ক সুবিধায় যে চিনি আমদানি হবে সে চিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সময় লাগে আরও দেড় থেকে দুই মাস। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে পণ্যটির কাঁচামালের অব্যাহত দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দেশে যে চিনি বিক্রি হচ্ছে তার ক্রয়মূল্যও বেশি।

ফলে নতুন করে দাম পুনঃনির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাড়ে তিন টাকা শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া সত্ত্বেও নতুনভাবে চিনির দাম পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে সেটি ৮০ টাকার কম হবে না। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর লিটারে তেলে দাম বাড়ানো হয় ৪ টাকা। ওই দাম বাজারে কার্যকর হওয়ার পর বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারিত আছে লিটারপ্রতি ১৫৩ টাকা এবং পাঁচ লিটারের দাম ৭২৮ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছিল ১২৯ টাকা। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বৈঠকে সভাপত্বি করেন। এতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এর উত্থাপিত দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দেয়া হয়েছে। তবে দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম বাড়ানোয় সম্মতিও দিতে পারেন কিংবা সুপারিশকৃত বর্ধিত দাম আরও কিছু সংশোধন করতে পারেন অথবা সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আরও কিছু দিন বর্তমান নির্ধারিত দামেই সয়াবিন তেল বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করতে পারেন।

তবে সেটি কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটি নিয়ে যেমন সংশয় রয়েছে। একইভাবে ভোজ্যতেলে শুল্ক না কমালে এবং আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির অবনতি না হলে দাম বাড়ানো ছাড়াও বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না। সব কিছু কাল সোমবার পরিষ্কার হতে পারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠকের পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসেছেন।
সিলনিউজবিডি ডট কম / এস:এম:শিবা

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ