সিলেট ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২২
অনলাইন ডেস্ক :: বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরের উত্তরের সম্প্রসারিত বাহু। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এ উপসাগরটি পশ্চিমে ভারত ও শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূল, উত্তরে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী প্রণালি সৃষ্ট বদ্বীপ এবং পূর্বে মিয়ানমার উপদ্বীপ থেকে আন্দামান-নিকোবর শৈলশিরা পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগ দ্বারা বঙ্গোপসাগর তিন দিকে আবদ্ধ। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ সীমা শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে চন্দ্রা চূড়া থেকে সুমাত্রার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। সর্বমোট প্রায় ২২ লাখ বর্গ কিমি আয়তনের বিশাল এলাকাজুড়ে বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত। এর গড় গভীরতা প্রায় ২ হাজার ৬০০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৫, ২৫৮ মিটার। বঙ্গোপসাগরের সর্বউত্তর প্রান্তে বাংলাদেশ অবস্থিত। তলদেশীয় ভূসংস্থান বিস্তীর্ণ ইউ-আকৃতির অববাহিকা দ্বারা বঙ্গোপসাগরের তলদেশ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যেটি দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে উন্মুক্ত। একটি সমরূপ অতল সমভূমি বঙ্গোপসাগরের প্রায় সমগ্র তলদেশজুড়ে রয়েছে যেটি ৮-১০ক্ক কোণে দক্ষিণমুখী সুষম ঢালবিশিষ্ট। স্থানে স্থানে এই সমভূমি উপত্যকা দ্বারা কর্তিত। মহীসোপান বাংলাদেশের উপকূলে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানের প্রশস্ততা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন। দক্ষিণ উপকূলে হিরণ পয়েন্ট ও সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মধ্যে এটি ১০০ কিলোমিটারেরও কম প্রশস্ত, আবার কক্সবাজার উপকূলের সম্মুখে ২৫০ কিলোমিটারেরও অধিক প্রশস্ত। সমুদ্র অভিমুখে এবং পশ্চিম অভিমুখের পলল মিহি ও অবসামুদ্রিক গিরিখাত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের কাছে সর্বাধিক পুরুত্ববিশিষ্ট কর্দমের সঞ্চয়ন ঘটেছে। চট্টগ্রাম ও টেকনাফ উপকূল অভিমুখী মহীসোপানের অগভীর (২০ মিটারেরও কম) অংশ বালু দ্বারা আবৃত এবং আন্ত জোয়ারভাটা এলাকাগুলো সুগঠিত বালুময় সমুদ্রতট প্রদর্শন করে থাকে। অন্যদিকে সুন্দরবন, পটুয়াখালী ও নোয়াখালী উপকূল অভিমুখী মহীসোপানের দক্ষিণ ভাগের অগভীরতর অংশটি পলিকণা ও কর্দম দ্বারা আবৃত এবং উপকূলরেখা বরাবর একটি বিস্তীর্ণ কর্দমাক্ত কটাল সমভূমি গড়ে উঠেছে। মহীসোপানের এই অংশে অবস্থিত কিছু কিছু মগ্নচরা ও বালুর মগ্নগিরি অবসামুদ্রিক গিরিখাত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের দিকে সম্প্রসারিত। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড গঙ্গাখাত নামেও অভিহিত। এর তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল যা ৫ থেকে ৭ কিমি প্রশস্ত এবং এর প্রাচীরসমূহ ১২ক্ক কোণে হেলানো। সোপানের প্রান্তভাগে খাতের গভীরতা প্রায় ১২০০ মিটার। সাগর অভিমুখে এই খাত প্রায় ২০০০ কিমি পর্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে বিস্তৃত হয়েছে। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপের মোহনায় বালুচরা এবং শৈলশিরাসমূহ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের দিকে মুখ করে গড়ে উঠছে যা থেকে বোঝা যায় যে, নদীবাহিত পললগুলো এই খাতের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীরতর অংশে গড়িয়ে পড়ছে। অর্থাৎ সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে বঙ্গীয় গভীর সমুদ্র উপবদ্বীপে পলিসমৃদ্ধ ঘোলাটে স্রোত সরবরাহ হয়ে থাকে।
সূত্র : বিডি প্রতিদিন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি