বাংলাদেশে ‘ভারত জুজু’ ভীতি দেখিয়ে একটি রাজনীতি শুরু হয়: নানক

প্রকাশিত: ১:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০

বাংলাদেশে ‘ভারত জুজু’ ভীতি দেখিয়ে একটি রাজনীতি শুরু হয়: নানক

অনলাইন ডেস্ক :

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ‘পাকিস্তানি এজেন্ট’। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিতে কাজ করেছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা তার পরবর্তী কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড: নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সিনিয়র সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লেখক ও সাংবাদিক আবেদ খান, ভাষাতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর নাসরিন আহমেদ, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

‘আসুন আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিবেকবোধ জাগ্রত করি, বঙ্গবন্ধু’সহ পনেরোই আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করি’ স্লোগানকে ধারণ করে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ‘ভারত জুজু’ ভীতি দেখিয়ে একটি রাজনীতি শুরু হয়। এ সংকটটা ছিল প্রকট এবং বিরাট। এর নেপথ্যের নায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্রটা পাকাপোক্ত করেন। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ভেতরেও ছিল একটি বিভেদ। জাতির পিতাকে হত্যায় সেটাকেও কাজে লাগানো হয়েছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়। এটা পাকিস্তান বানানোর একটি ষড়যন্ত্র। সেই থেকে দীর্ঘ ২১ বছর এ ষড়যন্ত্র চলেছে।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাতের জন্য যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের জিয়াউর রহমান সব সময় উৎসাহ দিয়েছে, মদদ দিয়েছে। পঁচাত্তরের আত্মস্বীকৃত খুনিরা পরবর্তীতে নানা সময়ে সাক্ষাতকারে বলেছেন, জিয়াউর রহমান তাদের সব সময় বলেছেন- ‘তোমরা যদি কিছু করতে পারো করো, আমি আছি- তবে ব্যর্থ হলে আমার নামটা নিও না।’

হানিফ আরও বলেন, এভাবে নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন এবং নিজেও ষড়যন্ত্র করেছেন জিয়াউর রহমান। জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না, এটা আজ দিবালোকের মতো সত্য। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন, এটা দিবালোকের মতো সত্য।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যার সব থেকে বড় প্রমাণ তিনি খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমান যদি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, তাহলে খুনিরা পুরস্কৃত হতো না; রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেত না। জিয়াউর রহমান এই হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে প্রমাণ করেছিলেন তাদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে।

হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন কিন্তু ইতিহাসের কোথাও আমরা পাই নাই- তিনি রণাঙ্গনে কোনো সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। এটা তিনি তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন হানিফ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ