বাংলাদেশ চার ধাপ পিছিয়েছে

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২১

বাংলাদেশ চার ধাপ পিছিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের চার ধাপ অবনতি হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর ৭২। গত বছর এই স্কোর ছিল ৬৮। এই স্কোরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।

রোববার ঢাকায় প্রকাশিত ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ ২০২১’ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, কোভিডের চেয়ে তামাকের কারণে দেশে অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আসলে সরকারি সংস্থাগুলো এফসিটিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে ধারণ করছে কিনা সেটাই মৌলিক প্রশ্ন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, হস্তক্ষেপ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই নাজুক। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, সেটা কেন? তিনি বিএটিবির থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এবং তামাকের ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক পুনর্বহালের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং টিভি টুডের এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোকে সচেতন করতে হবে; যাতে তারা তামাক কোম্পানি থেকে কোনো প্রকার সহায়তা গ্রহণ না করে। তামাক কোম্পানির সহায়তা গ্রহণ এফসিটিসির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

গবেষণায় তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করার কথা বলা হয়। এছাড়া একটি সহজ তামাককর ও মূল্য নীতি প্রণয়ন, তামাক কোম্পানিকে সব ধরনের পুরস্কার প্রদান বন্ধ ও বিনিয়োগে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আলোচনায় অংশ নেন— হেড অব গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ড. মেরি আসুন্তা, সিটিএফকের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন। আত্মার কো-কনভেনর নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচির প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ