ভাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকার জমি হেবা দলিল মাদ্রাসা শিক্ষকের

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২১

ভাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকার জমি হেবা দলিল মাদ্রাসা শিক্ষকের

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহের ভালুকায় বড় ভাইয়ের স্বাক্ষর জাল করে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমি হেবা দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় জমির মালিক আব্দুল কাদির বাদী হয়ে দলিল বাতিল দাবি ও প্রতারণার অভিযোগে আদালতে দুইটি মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার আঙ্গারগাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে আব্দুল কাদের প্রায় ২৭ বছর আগে একই উপজেলার সিডস্টোর এলাকার হেকমত আলীর মেয়ে রেহেনা আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে রাতুল হাসান (হৃদয়) ও তাসফিয়া নূর ঐশি নামে দুই সন্তান জন্ম নেয়।

সংসার জীবনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় আব্দুল কাদের ঢাকায় থাকতেন। সেই সুবাদে দেবর মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদের (কাদেরের সহোদর ছোট ভাই) সঙ্গে ভাবির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এদিকে, গত ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট রেহানা আক্তার স্বামী আবদুল কাদেরকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন দেবর আব্দুল ওয়াদুদকে। ওয়াদুদ উপজেলা জামিরদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।

মামলার বাদী আবদুল কাদের জানান, চাকরি জীবনে ১৯৯৮ সালে তিনি উপজেলার সিডস্টোর এলাকার আবুল কাশেম ঢালীর কাছ থেকে হবিরবাড়ি মৌজার ১৭০ নম্বর দাগের ১৪ শতাংশ জমি সাফকবলা মূলে ক্রয় করেন। অদ্যাবধি ওই জমি তার ভোগদখলে রয়েছে এবং বর্তমান বিআরএস রেকর্ডও তার নামে হয়েছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি ওই জমি থেকে তিনি ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির ঘটনাটি জানতে পেরে তার সাবেক স্ত্রী রেহেনা আক্তার ও রেহানা আক্তারের বর্তমান স্বামী আব্দুল ওয়াদুদ তাকে (কাদের) বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়ে তিনি ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

আব্দুল কাদের জানান, তিনি জানতে পারেন- তার স্বাক্ষর জাল করে ও ছবি ব্যবহার ছোটভাই আব্দুল ওয়াদুদ ২০১৩ সালের ১৩ মে ওই ১৪ শতাংশ জমি মো. রাতুল হাসান (হৃদয়) ও মোছা. তাসফিয়া নূর ঐশির নামে হেবা দলিল করে দিয়েছেন।

ওই ঘটনায় আব্দুল কাদের তার ছোটভাই আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫), সাবেক স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৪২), দলিল লেখক এসএম ফারুক আহমেদ, জাকির হোসেন (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও খোরশেদ আলমকে (৪০) আসামি করে ময়মনসিংহ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটের ৮নং নম্বর আমলি আদালতে একটি মামলা করেছেন।

পাশাপশি ওই জাল দলিল বাতিলের জন্য তিনি ভালুকা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আরও একটি মামলা করেন।

আব্দুল কাদের ও আব্দুল ওয়াদুদের মামা প্রধান শিক্ষক (অব.) নজরুল ইসলাম জানান, হেবা দলিলে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা তার ছোট ভাগ্নে আবদুল ওয়াদুদের।

এ বিষয়ে মোবাইলে কথা হলে অভিযুক্ত আবদুল ওয়াদুদ জানান, তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত না।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ