‘সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না’

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২২

‘সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না’

অনলাইন ডেস্ক :: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‌‘মুসলমান ও হিন্দুসহ সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশ নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’

কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব-২০২২ উপলক্ষে শনিবার বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ একসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছে। তিনি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন করেছেন।’

‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে সকল ধর্মের মানুষের জন্য। তাই সকল মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের দল। এই দল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। ধর্মের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। সবার রক্তের রং লাল। সকল মানুষের অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দল এবং শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে সকল মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং বাংলাদেশ কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ২০০০ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করা হয়েছে। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।’

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।

এর আগে, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর অডিটোরিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সেখানে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি থাকতে হবে। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তিতে আরও বেশি দক্ষ হওয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুখে হাসি ফুটাতে সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন। অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করেননি। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এটাই ছিলো তার অপরাধ। এ কারণেই ৭৫’এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু এবং শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।’

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ