সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
নিউজ ডেক্স :: সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমকে র্যাব আটক করেছে- এমন একটি গুজব সিলেট মহানগরীতে ছড়িয়ে পড়েছিল বুধবার ( ৮ আগস্ট) সারাদিন। পরে জানা গেছে, আটক নয়, শামীমের চা’র দাওয়াত ছিল র্যাব-৯ ইসলামপুর ক্যাম্পে। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে এটিও আরেক রহস্য। র্যাব’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, তেমন কিছু ঘটেনি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের কাছে ১০ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি টাকা পাওনা ছিল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী হাজি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের। দীর্ঘদিন থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে গত ১৬ আগস্ট এ ব্যাপারে তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগও ( জিডি নং ৭২১ ) দায়ের করেন। এর আগে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সহযোগীতায় বিষয়টির সন্তোষজনক নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। বরং আরও নানা অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখী হতে হয়েছিল তাকে। তাই বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য শাখারও সহযোগীতা চেয়েছিলেন কামাল। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে র্যাব-৯ ইসলামপুর ক্যাম্পে উভয়পক্ষ বসেছিলেন এবং আলাপ আলোচনা শেষে ৭ লাখ টাকায় বিষয়টি সমাধানে সম্মত হন উভয়পক্ষ। আবুল কাহের শামীম সেই ৭ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক সেখানেই প্রদান করেছিলেন বলেও জানায় সূত্রটি। তবে একসাথে লেনদেন শেষ করার ইচ্ছায় কামাল এতে রাজি হননি। আর তাই উভয়পক্ষ আগামী ৫ নভেম্বর র্যাব’র ইসলামপুর ক্যাম্পে বসে লেনদেনের বিষয়টি মিমাংসা করতে একমত হয়ে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেনে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।
এর সত্যতা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলমকে কল দিলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আবুল কাহের শামীম বা কামাল তার অফিসে গেছেন কি না, তাও তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। বলেছেন, আমাদের কাছেত অনেকেই আসে। নানা সমস্যা তারা জানায়। তবে এরকম কিছু ঘটেনি আজ।
তবে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম চুক্তি, টাকা লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনা বা কামাল হাজির উপস্থিতি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সেখানে চা’র আমন্ত্রণ ছিল তার। তাই গিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী হাজি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, শামীম ভাই’র কাছে ব্যবসার টাকা পাওনা ছিল আমার। ১০ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি টাকা আদায় করতে গিয়ে আমি নানা হুমকি ধমকি পেয়েছি। এমনকি এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী, এমরান আহমদ চৌধুরীসহ আরও অনেকের কাছে ধর্না দিযেছি। তারা কেউই এ ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি। আর তাই বাধ্য হয়ে গত ১৬ আগস্ট সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। এছাড়া আমি আইনশৃঙখলা বাহিনীর বিভিন্ন দফতরেও সহযোগীতা চেয়েছি। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার আমরা বসেছিলাম র্যাব-৯ ইসলামপুর ক্যাম্পে। আলাপ- আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি ৭ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয়েছেন। আমিও কিছুটা ছাড় দিয়ে এতেই সম্মত হই।
৫ লাখ টাকার চেক না নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একবারেই সমস্যাটির সমাধানের জন্যই আমি আজ ৫ লাখ টাকার চেক নেইনি। পরে তার সুবিধা অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর একসাথে পুরো ৭ লাখ টাকা র্যাব-৯ ইসলামপুর অফিস থেকে নেয়ার ব্যাপারে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটা লিখিত চুক্তি করেছি আমরা। আমি এখন সেই অপেক্ষায়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি