সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জে বন্যা

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২২

সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জে বন্যা

সিলনিউজ বিডি ডেস্ক :: সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জে ঢুকছে বন্যার পানি। প্লাবিত হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের বেশকিছু বাড়িঘর। কুশিয়ারা নদীতে সিলেট অংশের শেরপুরে বাঁধ না থাকায় ওই গ্রামে পানি প্রবেশ করে।

হবিগঞ্জ অংশে আর মাত্র কয়েক ইঞ্চি পানি বাড়লেই লোকালয় প্লাবিত হবে। এ অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, পারকুল ও ফাদুল্লাপুরসহ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া জেলার নদীগুলোর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, কুশিয়ারা নদীতে পানি বেড়েছে। খোয়াই নদীতেও পানি বাড়ছে। উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহপাড়পুর, পারকুল, ফাদুল্লাপুর এলাকায় নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে বাঁধ অনেক নিচু। তাই পানি বাড়লে বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, সিলেটের শেরপুর অংশে নদীতে বাঁধ নেই। ফলে নদীর পানি গালিমপুর গ্রামে প্রবেশ করে কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সেখানে এরইমধ্যে খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। পারকুল ও ফাদুল্লাপুর বাজার অংশে বাঁধ নিচু হওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব জায়গায় বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। মাত্র সাত-আট ইঞ্চি পানি বাড়লেই লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। তাই বন্যা ঠেকাতে বালুর বস্তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে রোববার (২২ মে) হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, জেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাতির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বীর আহমেদ, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ঘলবাকের মাধবপুর ও গালিমপুরে কিছু অংশে পানি উঠেছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ