সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক
যেদিকে চোখ যায়, কেবলই ধূসর পাথুরে পর্বত। আর পাদদেশে শুভ্র সাদা অত্যাধুনিক স্থাপনা। সুলতানি শাসনের ওমানে যেন বাড়ি-ঘরের একটাই রং সাদা! স্থাপনায় অন্য রং করতে গেলে লাগে বিশেষ অনুমতি। যা খুবই ঝামেলার। ওমানের শান্তিপ্রিয় মানুষ তাই স্থাপনার জন্য সাদাকেই বেছে নিয়েছেন। ৩ লাখ ৯ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটিতে মাত্র ৬০ লাখ লোকের বাস। যার মধ্যে ৮ লাখই বাঙালি। আর এই বাঙালির সব অংশ থাকেন রাজধানী শহর মাস্কাটের রুই ও মাতরায়। এই জায়গা দুটি হলো ওমানের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। এখানকার বাঙালিদের অধিকাংশই শ্রমিক। তবে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও নিছক কম নয়। একটা সময় কেবল শ্রমিকরাই ওমানে আসতেন। এখন ব্যবসায়ীরাও আসছেন। কেউ কেউ এখানে আসার পর নিজে নিজেই ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। রুই ও মাতরার রাস্তাঘাট, শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ -এমন কি চায়ের দোকানেও বাঙালি প্রবাসীদের আধিক্য। কিছু কিছু জায়গায় বাঙালিদের আধিক্য এতটাই বেশি যে, স্থানীয় ওমানী কিংবা অন্য কোনোর দেশের নাগরিককে চোখেই পড়ে না। এজন্য রুই ও মাতরাকে এখানকার প্রবাসীদের অনেক সুলতান শাসিত ওমানের ‘বাঙালি রাজ্য’ বলে থাকেন! সুলতানি শাসন চললেও ওমানে তা বোঝার উপায় নেই। এখানকার মানুষরা নিজেদের স্বাধীন মনে করেন। তবে এখানে নিয়ম ভাঙার কোনো উপায় নেই। সে কারণে আরব বিশ্বে ওমানই হয়তো একমাত্র দেশ যেখানে অপরাধ নেই বললেই চলে। তারপরও রয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওমানে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ‘রয়্যাল পুলিশ’। তারা ধূসর পোশাক পরিধান করেন এবং তাদের গাড়িও ধূসর। কোনো বিচার ব্যবস্থাও নেই। রয়্যাল পুলিশের রায়ই চূড়ান্ত বলে ধরা হয়। রুইতে বসবাস করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আবুল হাসান। যিনি নিজের চেষ্টায় ওমানে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। এখানে গঠন করেছেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল অব ওমান। যে সংগঠনের আহ্বায়কও তিনি। গতকাল মাস্কাটে দেখা হয় আবুল হাসানের সঙ্গে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘ওমানে এক সময় কেবল শ্রমিক হিসেবেই বাঙালিরা আসতেন। কিন্তু ইনভেস্টররাও আসছেন। কেউ কেউ এখানে এসে ব্যবসায়ী হচ্ছে যাচ্ছেন। আমিও এখানে এসেই শুরু করেছি ব্যবসায়ী হয়েছি। গড়ে তুলেছি হাসান গ্রুপ।’ হাসান বলেন, ‘ওমানে যে বাঙালিরা আসতেন, তাদের বেশির ভাগই স্বল্প শিক্ষিত। পড়াশুনা কম থাকায় তারা এলসি, এক্সচেঞ্জ এবং ব্যাংকিং সিস্টেম সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এমন অনেকে এটাও জানতেন না কিভাবে শপিং মলে কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু আমি সাইপ্রাস থেকে গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট করে এখানে আসি ২০১১ সালে। এ অবস্থা দেখে চিন্তা করি যেভাবেই হোক, একটা ব্যবসা দাঁড় করাব। তারপর অনেক চেষ্টায় আজকের এই অবস্থানে। অনেকে আমাকে দেখে এখন ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ছেন। তারা সফলও হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা মিলেই এখানে ব্যবসায়ী কমিউনিটি গড়ে তুলেছি।’ ‘ওমানের মতো শান্তি প্রিয় দেশ বলেই দ্রুত সফল হতে পেরেছি। তা ছাড়া আমাদের বাংলাদেশ থেকে আসা শ্রমিকরাও ভীষণ কর্মঠ। তারা সুনামের সঙ্গেই ওমানে বাস করছেন। সব মিলে ওমানে আমরা ভালোই আছি।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি