সাহেদকে গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২০

সাহেদকে গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক :;

চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদকে খুব শিগগিরই গ্রেফতারের বিষয়ে আশাবাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেননি। দলীয় নেতাদেরও তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। যার (সাহেদ) কথা বলছেন, যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন, যদি প্রমাণিত হয়— তাকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে (সাহেদ) ধরার জন্য অনুসন্ধান চলছে। র‌্যাব ও পুলিশ উভয়েই খুঁজছে। আমরা মনে করি খুব শিগগিরই (গ্রেফতারের) তথ্য দিতে পারবো।’

শুক্রবার (১০ জুলাই) ধানমণ্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ৭ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান চলাকালে সাহেদের ফোন দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি ফোন দিয়ে তার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করি। সেই সুবাধে আমাকে ফোন দিয়েছিল।’

পরে সে বলেছিল—‘হাসপাতাল সিল করে দিচ্ছে।’ আমি বলেছি—আপনি নিশ্চয়ই কোনও অন্যায় কাজ করেছেন, এ জন্য সিল করছে। বিনা কারণে তো সিল করে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সে (সাহেদ) বললো, আমি তাহলে কী করবো? আমি বললাম, হয় আপনি ফেস করেন, আপনার যদি কিছু বলার থাকে কোর্টে যান। এটুকুই আমি বলেছি।’

সাহেদকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‌্যাবের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাহেদকে গ্রেফতারে ‘সর্বাত্মক চেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিযান সম্পর্কে কিছু বিষয় আছে, যা প্রকাশ করলে পলাতক আসামিরা সতর্ক হয়ে যাবে। যতটুকু তথ্য আছে তাতে দেশের বাইরে সে যেতে পারেনি।’

তাকে গ্রেফতারে র‌্যাবের একাধিক টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ৬ হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ দেওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যা ব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
15161718192021
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ