মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন সেকমো রাজু : অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন সেকমো রাজু : অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নুর নবী রাজু সরকারি চাকুরী বিধি অমান্য করে বড়লেখা পৌরশহরের ক্ষিণ বাজারে ‘হলি লাইফ স্পেশালাইজড হসপিটাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রী মৌসুমি কিবরিয়াকে চেয়ারম্যান, শ্যালক, শালিকাকে গুরুত্বপূর্ণ পে রেখে বিগত এক বছর ধরে বিনা লাইসেন্সে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য চালাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে তিনি নিজের গড়া বেসরকারী হাসপাতালে রমরমা বাণিজ্য করছেন।
সরকারি ঔষধ পাচার, সার্টিফিকেট বিক্রি, ভূয়া টেস্ট বাণিজ্য, ভুল চিকিৎসা, জ্বর ও গলা ব্যথার রোগীদেরকে করোনার ভয় দেখিয়ে ভর্তি ও মোটা অঙ্কের বিল আদায়সহ নানা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে ১৬ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেকমো নুর নবী রাজু কর্তৃক প্রতারিত ুই ব্যক্তি গত ১৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবরে ুইটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে একটি অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস।
অভিযোগে জানা যায়, এক পুলিশ অফিসারকে এইচবিএসএজি’র ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে বেকায়দায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে নুর নবী রাজু তা আপোষ মিমাংসা করেন। একজন সিজারিয়ান রোগীকে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ কম বলে ব্লাড দেয়ার কথা বলে করছে ক্রসম্যাচিং টেস্ট বাণিজ্য করেন। প্রতিটি ক্রসম্যাচিং এ নেয়া হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২হাজার ৫শ’ টাকা। কিছুদিন পূর্বে একজন গলব্লাডার রোগীকে ঢাকা থেকে আসা ডাক্তার তানোয়ারুল ইসলামকে দিয়ে অপারেশন করানো হয়। পরে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়।
ভুক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ১২ মে মোটরসাইকেল ূর্ঘটনায় তার ভাই ছইফ উদ্দিনের হাত ভেঙে যায়। তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতে বসা সেকমো নুর নবী রাজু বলেন, এখানে কিছু করা সম্ভব নয়। ফুসলিয়ে তিনি হলি লাইফ হসপিটালে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন কায়া ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা আদায় করেন। কিন্তু ২০-২৫ দিন গেলেও হাতের উন্নতি হয়নি। নুর নবী রাজুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আরো ২ মাসের ঔষুধ দেন। হাতের অবনতি ঘটায় ২৮ জুন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরের পর দেখা যায় ভাঙা হাত ভাঙাই রয়েছে, জোড়া লাগেনি। আবারো নুর নবী রাজুর কাছে গেলে তিনি চরম অসদাচরণ করেন।
পরে সিলেটের একজন অর্থপেডিকস দেখিয়ে জানতে পারেন ভুল চিকিৎসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অপারেশন ছাড়া হাড় জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। অপারেশন করতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে। এব্যাপারে তিনি ১৫ জুলাই নুর নবীর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সেকমো নুর নবী রাজু জানান, হলি লাইফ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী মৌসুমী কিবরিয়া। কিন্তু ভবনের মালিক কোন মহিলার সাথে চুক্তি করতে রাজি হননি। তাই তিনি (রাজু) চেয়ারম্যান হয়ে মালিকের সাথে ডিড করেছেন। তবে পরে তিনি তা স্ত্রীর নামে ফেরত দিয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি জানান, হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আব্দুর রহমান গত ৮ মাসের হিসাব দেয়নি। সে মালিকানা দাবী করায় তার সাথে সমস্যা হয়েছে। এজন্য তিনিই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত হলি লাইফ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স পায়নি। সরকারী ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পরীক্ষা সামগ্রী পাওয়াসহ নানা অনিয়মে হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়। সেকমো নুর নবী রাজুর বিরুদ্ধের একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়েছি।মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন সেকমো রাজু ঃ অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নুর নবী রাজু সরকারি চাকুরী বিধি অমান্য করে বড়লেখা পৌরশহরের ক্ষিণ বাজারে ‘হলি লাইফ স্পেশালাইজড হসপিটাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রী মৌসুমি কিবরিয়াকে চেয়ারম্যান, শ্যালক, শালিকাকে গুরুত্বপূর্ণ পে রেখে বিগত এক বছর ধরে বিনা লাইসেন্সে রমরমা চিকিৎসা বাণিজ্য চালাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে তিনি নিজের গড়া বেসরকারী হাসপাতালে রমরমা বাণিজ্য করছেন।
সরকারি ঔষধ পাচার, সার্টিফিকেট বিক্রি, ভূয়া টেস্ট বাণিজ্য, ভুল চিকিৎসা, জ্বর ও গলা ব্যথার রোগীদেরকে করোনার ভয় দেখিয়ে ভর্তি ও মোটা অঙ্কের বিল আদায়সহ নানা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে ১৬ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেকমো নুর নবী রাজু কর্তৃক প্রতারিত দুই ব্যক্তি গত ১৫ জুলাই তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবরে ুইটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে একটি অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস।
অভিযোগে জানা যায়, এক পুলিশ অফিসারকে এইচবিএসএজি’র ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে বেকায়দায় পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে নুর নবী রাজু তা আপোষ মিমাংসা করেন। একজন সিজারিয়ান রোগীকে হিমগ্লোবিনের পরিমাণ কম বলে ব্লাড দেয়ার কথা বলে করছে ক্রসম্যাচিং টেস্ট বাণিজ্য করেন। প্রতিটি ক্রসম্যাচিং এ নেয়া হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২হাজার ৫শ’ টাকা। কিছুদিন পূর্বে একজন গলব্লাডার রোগীকে ঢাকা থেকে আসা ডাক্তার তানোয়ারুল ইসলামকে দিয়ে অপারেশন করানো হয়। পরে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়।
ভুক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ১২ মে মোটরসাইকেল ূর্ঘটনায় তার ভাই ছইফ উদ্দিনের হাত ভেঙে যায়। তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতে বসা সেকমো নুর নবী রাজু বলেন, এখানে কিছু করা সম্ভব নয়। ফুসলিয়ে তিনি হলি লাইফ হসপিটালে নিয়ে যান। পরে বিভিন্ন কায়া ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা আদায় করেন। কিন্তু ২০-২৫ দিন গেলেও হাতের উন্নতি হয়নি। নুর নবী রাজুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আরো ২ মাসের ঔষুধ দেন। হাতের অবনতি ঘটায় ২৮ জুন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরের পর দেখা যায় ভাঙা হাত ভাঙাই রয়েছে, জোড়া লাগেনি। আবারো নুর নবী রাজুর কাছে গেলে তিনি চরম অসদাচরণ করেন।
পরে সিলেটের একজন অর্থপেডিকস দেখিয়ে জানতে পারেন ভুল চিকিৎসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অপারেশন ছাড়া হাড় জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। অপারেশন করতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগবে। এব্যাপারে তিনি ১৫ জুলাই নুর নবীর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে সেকমো নুর নবী রাজু জানান, হলি লাইফ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী মৌসুমী কিবরিয়া। কিন্তু ভবনের মালিক কোন মহিলার সাথে চুক্তি করতে রাজি হননি। তাই তিনি (রাজু) চেয়ারম্যান হয়ে মালিকের সাথে ডিড করেছেন। তবে পরে তিনি তা স্ত্রীর নামে ফেরত দিয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি জানান, হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আব্দুর রহমান গত ৮ মাসের হিসাব দেয়নি। সে মালিকানা দাবী করায় তার সাথে সমস্যা হয়েছে। এজন্য তিনিই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত হলি লাইফ স্পেশালাইস্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স পায়নি। সরকারী ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পরীক্ষা সামগ্রী পাওয়াসহ নানা অনিয়মে হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়। সেকমো নুর নবী রাজুর বিরুদ্ধের একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়েছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ