সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট ::
মাত্র এক দিন পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা মহামারির কারণে অনেকটা-কম বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। কিন্তু এ আমেজ পুরোপুরি উধাও বন্যাকবলিত গোয়াইনঘাট উপজেলায়। চার দফা বন্যায় পানিবন্দি ছিল প্রায় ২০০ টি গ্রাম ২ লক্ষ মানুষ।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে ছিল গোয়াইনঘাটবাসী। ভারতের মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়ের জলরাশির ঢল, অবিরাম বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা সবকিছু মিলে গোয়াইনঘাটের মানুষ এখন প্রতিনিয়ত কঠিন জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ। একদিকে নিজের জীবন, বাড়িঘরসহ ঘরের শেষ সম্বল টুকু টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। অন্যদিকে দৈনিক আহার, গৃহপালিত গরু হাঁস-মুরগির নিরাপদ সংরক্ষণ, মহামারী করোনার আতঙ্ক সবকিছু মিলে চতুর্মুখী বিপদের সংকটময় মুহূর্তের এক ভয়াল ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উপজেলাবাসী।
এক মাসেরও অধিক সময় ধরে উপজেলার মানুষ বানের পানিতে ভাসছে। এ অবস্থায় বানভাসিদের ঈদের আনন্দ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পানিতে ভাসা বেশিরভাগ মানুষের সাধ্য নেই এবারে ঈদে পশু কোরবানি দেওয়ার। বানভাসিদের মতে, যেখানে জীবনই বাঁচে না, সেখানে কিসের ঈদ। তারা তাকিয়ে আছেন সরকারের দিকে। ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রাণ দিয়ে বন্যা ও ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সরকারের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ত্রাণ সহায়তা করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলেন ‘একে তো করোনা, তার ওপর বন্যা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি। আমাদের এবারে কিসের ঈদ। দিনপাতই চলছে না আবার ঈদ।