মৌলভীবাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে নদীর পানি, ৬টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২২

মৌলভীবাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে নদীর পানি, ৬টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজার জেলার সবগুলো নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। জেলার একমাত্র কমলগঞ্জ ছাড়া অপর ৬টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রধানতম নদীগুলোর মধ্যে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় এসব নদ-নদীতে ৫ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে বলে জানান মৌলভীবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান।

এ দিকে কুশিয়ারা নদীর তীররক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এতে সদর উপজেলার খলিলপুর ও মনুমুখ ইউনিয়নসহ ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ৭ উপজেলায় ২১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, নতুনবস্তি ও হামরকোণা গ্রামের কুশিয়ারা নদী তীররক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে স্থানীয় শেরপুর বাজারসহ আরও ৪টি গ্রামের অন্তত হাজার খানেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে সদর উপজেলার মনুমুখ, আখাইলকুঁড়া, একাটুনা, কনকপুর, চাঁদনীঘাটের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। একইভাবে রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার অনেক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। জেলায় ৬০টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, মৌলভীবাজারের ৭ উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত। বন্যাকবলিতদের সাহায্যার্থে বরাদ্দ দেওয়া চাল ও শুকনা খাবার এরই মধ্যে উপজেলার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ