ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সু চির আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সু চির আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে মিয়ানমারের নেত্রী সু চির আলোচনায় উঠে এসেছে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ। শুক্রবার টেলিফোনে কথোপকথনের সময় মিয়ানমারের সামনে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন সু চি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, গত সাধারণ নির্বাচনে সু চির দলের জয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়ে আলোচনা শুরু করেন বরিস।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পথে পরিবর্তনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দেশগুলো কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।

আগামী বছর জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে একমত হয়।

বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি এবং আসিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব বজায় রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারে বিশেষত দেশটির রাখাইন এবং চিন রাজ্যে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে এবং বেসামরিক লোকেরা ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কবলে পড়ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী ব্যবস্থা সংক্রান্ত রায় মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে; যদিও রোহিঙ্গারা এখনও তাদের মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গা এখনও নিজ দেশে শিবিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং অবাধে চলাচল এমনকি চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সুযোগও তাদের নেই।

যুক্তরাজ্যের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক এবং জাতিগত সশস্ত্র উভয় গ্রুপ দ্বারা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হেফাজতে মৃত্যু, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, যৌন সহিংসতা এবং ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস’ পরিচালনার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে মিয়ানমারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল।

গত জুলাইয়ে, রোহিঙ্গা জনগণ এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার জন্য মিয়ানমারের দুই উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছিল যুক্তরাজ্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ