সিলেটে কর্মচারি হয়ে মালিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২০

সিলেটে কর্মচারি হয়ে মালিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: বাস্তবে তিনি কর্মচারি। চাকরি করেন সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতনে। কিন্তু মালিকের অবর্তমানে নিজেই মালিক সেজে দোকান দখলের চেষ্টা করেছেন। দাপট খাটিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন আরেক কর্মচারি।

ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট নগরের মীরের ময়দান প্রধান সড়ক সংলগ্ন এমএম এন্টারপ্রাইজে।

এ ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী অনন্ত মোহন পাল গত ১৫ মে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-৭০৭) করেছেন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত তালা দিতে হয়েছে। আর হিসাব না দিয়েই লাপাত্তা সা্ইফুল ইসলাম নামের ওই কর্মচারি।

অনন্ত মোহন পাল সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে সাইফুল ইসলামকে তিনি সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেন। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ থেকে তিনি বিভিন্ন সময় নগদ টাকা ও মালামাল নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে হিসাব চাইলে তিনি হিসাব বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করেন।

উপরন্তু হিসাব করে দেখেন ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা তার ক্ষতিসাধন হয়েছে। সাইফুল ইসলাম হিসাব বুঝিয়ে দিব, দিচ্ছি বকলে টালবাহানা শুরু করে। গত ১৫ মে পূণরায় টাকা দাবি করলে কর্মচারি সাইফুল হুমকী দিয়ে পরিবারের ক্ষতিসাধনের হুমকী দেয়। যে কারণে নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এ বিষয়ে অনন্ত মোহন পাল বলেন, দোকান কোঠা মালিকের কাছ থেকে চুক্তিনামায় ভাড়া নিয়ে এমএম এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার পর সাইফুল ইসলামকে কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ দেই। বিভিন্ন সময় আমার পুরাতন দোকান মোহন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে মালামাল নিয়ে ওই দোকানকে সমৃদ্ধ করি।কিন্তু ফটোকপি করাতে আসলে মেশিন নষ্ট বলে সাইফুল লোকজনকে ফিরিয়ে দিতেন। ওখানে একটি ফটোকপির মেশিন চালু করলেও পরে তা সরিয়ে আমার পুরাতন দোকানের সামনে স্থাপন করি। নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা সাইফুল আমাকে না জিজ্ঞেস করেই ৮ হাজার টাকা বেতনে আরেক কর্মচারি রেখে দোকানে বসিয়ে বিভিন্ন দিকে ব্যস্ত থাকেন এবং নিজে মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন নেন। দোকানের হিসাব করতে গেলে এসব বিষয় বেরিয়ে আসে। যে কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বিতাড়ন করে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখি।

এদিকে, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমএম এন্টারপ্রাইজের আমার ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ থাকার পরও সাইফুল নিজে দোকানে পুঁজি খাঁটিয়েছে দাবি করে। ক্ষমতাসীন দুই নেতাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন।

অপরদিকে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি পুলিশের উপ সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটি তদন্তে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি সাইফুল কর্মচারি হিসেবে দোকানে নিয়োজিত ছিলেন। পরে বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়ার জন্য জনৈক রাজনৈতিক নেতার পিএস দায়িত্ব নিলেও শেষ করে দেননি। বিষয়টি নিস্পত্তি করতে বিলম্ব হওয়াতে তিনি যেকোনো দিন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও প্রতিউত্তর জানা যায় নম্বরটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে না।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
15161718192021
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ