সারা বিশ্বের কাছে যে নামটি ছিল ভালোবাসার

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২০

সারা বিশ্বের কাছে যে নামটি ছিল ভালোবাসার

স্পোর্টস ডেস্ক

চার মেয়ের পর প্রথম ছেলে হল ম্যারাডোনা পরিবারে। নাম রাখা হল দিয়াগো। গরিব পরিবারে জন্ম হল ভবিষ্যতের ফুটবলের রাজপুত্রের। দিয়াগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা। যে নাম সারা বিশ্বের কাছে হয়ে উঠল ভালোবাসার।

১৬ বছর বয়সে…
বুয়েনস আয়ার্সে বড় হয়ে ওঠা ম্যারাডোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুযোগ পেলেন আর্জেন্টিনা জুনিয়র দলে। টানা পাঁচ বছর সেই দলের হয়ে খেলেন ১৬৭ ম্যাচ। গোল ১১৬।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে…
বেশি সময় লাগেনি তার আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সাদা-নীল জার্সি ওঠে ফুটবলের রাজপুত্রের গায়ে

বোকা থেকে বার্সায়…
আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে খেলেছেন এক বছর। এরপরই উড়ে যান স্পেনে। যোগ দেন বার্সেলোনায়। কাতালানদের হয়ে ২৮ গোল করেন ৪০ ম্যাচে।

এরপর নাপোলি…
বার্সেলোনা ছেড়ে নাপোলি। ফুটবল জীবনের সব থেকে বেশি সময় কাটিয়েছেন ইতালির ক্লাবের হয়ে। ১৮৮ ম্যাচে ৮১ গোল করেছিলেন।

চারটি বিশ্বকাপ…
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপে। প্রথমটি ১৯৮২ সালে। ফুটবলবিশ্বে ততদিনে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সেবারের বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে তাকে কড়া মার্কিংয়ে আটকে রাখতে ব্যস্ত ছিল প্রতিপক্ষ। ফাউলের পর ফাউলের শিকার হয়েছিলেন তিনি। গোল মাত্র দুটি।

৮৬-তে মহানায়ক…
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ফিরে এলেন মহাতারকা হয়ে। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক তিনি ওই বিশ্বকাপে। সেটি ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনা হন জয়ের নায়ক।

নিন্দিত ও নন্দিত…
’৮৬ বিশ্বকাপে দুটি ঘটনা। প্রথমটা ‘হ্যান্ড অব গড’। ঈশ্বরের হাত। দ্বিতীয়টা ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। দুটি ঘটনাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথমটার জন্য নিন্দিত এবং পরেরটার জন্য নন্দিত হয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

গোল অব দ্য সেঞ্চুরি…
এই গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা ইংলিশ গোলকিপার পিটার শিল্টনসহ পাঁচজনকে কাটিয়ে। ফুটবলবিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে দেখল সেই দৃশ্য। সেই গোলটিই মর্যাদা পেল ‘শতাব্দীসেরা গোল’ হিসেবে।

শেষ বিশ্বকাপ…
ফুটবল রাজপুত্র শেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন ১৯৯৪ সালে। সেই বিশ্বকাপ এনে দিল কলঙ্ক। মাদক পরীক্ষায় ধরা পড়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলে ফিরে যেতে হল তাকে দেশে।

বোকায় শুরু বোকায় শেষ…
শুরুটা করেছিলেন বোকা জুনিয়র্সে। শেষও করলেন একই ক্লাবে খেলে। ক্লাব ফুটবলে ২৫৯ গোল করেছেন ৪৯১ ম্যাচে। আর আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল।

কোচ ম্যারাডোনা…
১৯৯৪ সালে কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার টেক্সটিল ম্যানডিউতে শুরু কোচিং ক্যারিয়ার। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন তিনি, কোচিংয়ে এসে তা কিন্তু হল না।

আর্জেন্টিনার কোচ…
আর্জেন্টিনার কোচ হন ২০০৮ সালে। কোনোমতে ২০১০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠে আর্জেন্টিনা। দলে ম্যারাডোনা-মেসির সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিদায়। আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে বিদায় নেন ম্যারাডোনা।

চিরঘুমে ফুটবলের রাজপুত্র…
২৫ নভেম্বর ২০২০। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যু। শেষ হল রূপকথা।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ