টরন্টোয় বন্দুক সন্ত্রাস বেড়েছে, বাংলাদেশিদের সতর্কতার পরামর্শ

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১

টরন্টোয় বন্দুক সন্ত্রাস বেড়েছে, বাংলাদেশিদের সতর্কতার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক

কোভিড মহামারিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নাগরিকদের মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মাদকাসক্তি এবং বন্দুক সন্ত্রাসের পরিমাণ আশঙ্কাজনক বেড়ে গেছে। তরুণরা নানা ধরনের গ্যাংয়ে জড়িয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, নিরপরাধ মানুষেরাও সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন।

কানাডার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর টরন্টোর এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে ‘শওগাত আলী সাগর লাইভের’ আলোচনায়।
কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’র প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সম্প্রচারিত ‘টরন্টোয় কেন এত বন্দুক যুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা টরন্টোয় ক্রমবর্ধমান বন্দুক সন্ত্রাস, বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তার প্রতিক্রিয়া এবং তাদের করণীয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

আলোচকরা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুনদের গ্যাং সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন। তারা বলেন, যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার মতো সম্পর্ক সন্তানদের সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রচারিত লাইভ আলোচনায় অংশ নেন- অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ ড. শিশির শাহনওয়াজ, বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সাজ্জাদ আলী এবং ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মুনতাকা আহমেদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. শিশির শাহন্ওয়াজ বলেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, নানা রকমের সুযোগ সুবিধায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসবাদের উসকানি দেয়। টরন্টোয় অর্থনৈতিকভাবে চাপে থাকা কমিউনিটি এবং তাদের আবাস এলাকাগুলোতেই সন্ত্রাসী তৎপরতা বেশি হচ্ছে।

বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সাজ্জাদ আলী বিগত কয়েক বছরের সহিংসতার তথ্যউপাত্ত তুলে ধরে বলেন, টরন্টো এখন রীতিমতো একটি আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

তিনি শহরের রিজেন্ট পার্কে গত সপ্তাহে তিনজন বাংলাদেশি কানাডিয়ানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা সারাদিন কাজ করে নিজের বাসার পার্কিং লটে গল্প করার সময় সন্ত্রাসীদের এলাপাতাড়ি গুলির শিকার হয়েছেন।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মুনতাকা আহমেদ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, মানসিক অসুস্থতা, গ্যাং, সন্ত্রাস এসব নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির অভিভাবকরা কথা বলতে চান না। তারা মনে করেন- এগুলো অন্য কমিউনিটির বিষয়, আমাদের কমিউনিটিতে আসবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- এগুলো কমিউনিটি বা গোত্র বর্ণ দেখে আসে না।

তিনি তরুণদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, তরুণ-তরুণীদের উচিত নিজের ঘরে সব কথা বলার মতো পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নেয়া। অভিভাবকরা প্রতিপক্ষ নন, সন্তানের মঙ্গল কামনা থেকেই সন্তানদের প্রতি নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ করেন- এটি মাথায় নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ