সিলেট ৩রা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নতুন অর্ন্তভুক্তির যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তার অগ্রগতিও হয়েছে অনেক। কিন্তু ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন ‘রহস্যজনকভাবে’ তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে না পাঠিয়ে ফাইলবন্দি করে রাখার অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মানিকুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশ ও মাটি আমাদের গর্বিত স্বীকৃতি প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দিয়েছে। এ পরিচয় গর্বের, অহংকারের। আমাদের চেতনা ও বিশ^াসের পুরস্কার। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় বিভিন্ন জটিলতায় নাম অন্তর্ভুক্তি হয়নি অনেক মুক্তিযোদ্ধার। তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি জমা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কোন এক অজানা কারণে প্রতিবেদনটি ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অর্ন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অধীনে ২০১৪ সালে তালিকায় নাম বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অর্ন্তভূক্তি জন্য অনলাইনে আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হয়। সেই তালিকায় অর্šÍভূক্তির জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার মতো আমরাও এ সুযোগ গ্রহণ করি। ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি পাঠানো আবেদন যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়। সূত্র (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় পত্র নং ৪৮.০০.০০০০.০০৪.৪৯.২৩৩.০৯-৯২ তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭)
তিনি জানান, পরবর্তীতে এ যাচাই বাছাই শেষে (স্মারক নং ০৫.৪৬.৯১৩৫.০০০.১৬.০২৩.২০১৭-১৪০ এর মাধ্যমে) গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে তৎকালীন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হুরে জান্নাত চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদনটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। এছাড়াও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক ও সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছেও এর অনুলিপি পাঠানো হয়। কিন্তু সারাদেশের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ দপ্তরে পৌঁছে অগ্রগতি নিশ্চিত হলেও কেবল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তালিকাটির কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। এ তালিকাটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিরের সকল নির্দেশনা যথাযত পালন ও আবেদনকারিদের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহিত হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, রহস্যজনকভাবে আমাদের তালিকা মুলত ফাইলবন্দি। অগ্রগতি নেই, এ ফাইলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়েছে, কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। সময়ের ব্যবধানে সেই অপশক্তির নাম পরিচয় আমরা তুলে ধরতে বাধ্য হবো। আমরা আশা করছি তার শুভবোধের উদয় হবে এবং এ তালিকা দ্রুত যথাযথ কর্তৃপক্ষের টেবিলে হস্তান্তর করবেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। এ সময় তারা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজেদের নাম না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রথম শহীদের গৌরব অর্জন করেছিলেন আসাদুজ্জামান বাচ্চু। কিন্তু এ শহীদের নাম এখন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পায়নি। এ তালিকা আরো দীর্ঘ। এর মধ্যে রয়েছেন শহীদ ধীরেন্দ্র কুমার দাস, শহীদ মো. আবদার আলী, মৃত সৈয়দ মুজাহিদ আলী, বদরুল ইসলাম (নিলু), মৃত শহীদুল করিম চৌধুরী, আব্দুল বাছিত চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল লতিফ, মৃত নজমুল হোসেন, মো: আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, প্রয়োজনে পুনরায় তদন্ত করেও বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্তির দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল জব্বার, মো: মানিকুজজামান, মখলিছুল করিম চৌধুরী, মো: শিহাব চৌধুরী, সৈয়দ মোস্তাফ নেওয়াজ
মো: আশফাকুল ইসলাম (সাব্বির) ও সুমা করিম চৌধুরী।
সম্পাদক ও প্রকাশক : এড. আফছর আহমদ
যুগ্ম সম্পাদক : মোছাম্মদ নুরুন নাহার
নির্বাহী সম্পাদক : নাজমুল কবীর পাভেল
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420, 01711-365152
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি