‘করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর দরকার নেই, ৪০ ভাগ শয্যা পড়ে আছে’

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

‘করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর দরকার নেই, ৪০ ভাগ শয্যা পড়ে আছে’

অনলাইন ডেস্ক :;

করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটরে যাওয়া রোগীদের প্রায় সবাই মারা গিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজন নেই। দেশের ৪০০ ভেন্টিলেটরের মধ্যে সাড়ে তিনশ’ ব্যবহারই হয়নি বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।

জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পিপিই ও কিট কেনায় দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘করোনাকালে এসে আমাদের এই রুগ্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুরবস্থা দেখছি। মানুষ বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মীনা কার্টুনে পরিণত হয়েছে। মীনা কার্টুনের টিয়া পাখি (মিঠু) দিয়ে চলছে এই মন্ত্রণালয়।’

এই আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ। আলোচনার সময় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনাকালে স্বাস্থ্যব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিইউ নিয়ে অনেক কথা হল। ভেন্টিলেটর নিয়ে বিরাট হইচই। কিন্তু দেখা গেছে, ভেন্টিলেটরের কোনো প্রয়োজনই নেই। ভেন্টিলেটরে যারা গেছেন, তাদের প্রায় সবাই মারা গেছেন। আমাদের চারশ’ ভেন্টিলেটর আছে। এর মধ্যে ৫০টিও ব্যবহার হয়নি। সাড়ে তিনশ’ ভেন্টিলেটর খালি পড়ে আছে। আমাদের মোট বেডের ৬০ শতাংশে এখন রোগী আছে। ৪০ শতাংশ বেড খালি পড়ে রয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার বেড করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত আছে। সেখানে রোগী আছে চার হাজার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, করোনা চিকিৎসার ওষুধ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। ‘করোনার কী চিকিৎসা লাগবে, ডব্লিউএইচও তা বারবার চেঞ্জ করেছে। আমরাও সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করেছি। কেউ কিন্তু আগে বলেনি পিপিই লাগবে। যখন বলা হল, তখন সারা বিশ্ব লকডাউন। এই লকডাউনের কারণে আমরা পিপিই পাচ্ছিলাম না। যন্ত্রপাতি পাচ্ছিলাম না। পরে আস্তে আস্তে ব্যবস্থা করছি। এখন আর সেই অভিযোগ নেই। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এখন হাইফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা এক হাজার অক্সিজেনের অর্ডার দিয়েছি। প্রায় ১০ হাজার নতুন সিলিন্ডার বানানো হয়েছে।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ