‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেঁচে থাকলে কোনো চিন্তাই করতাম না’

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১

‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেঁচে থাকলে কোনো চিন্তাই করতাম না’

অনলাইন ডেস্ক :: চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির বাবা তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেছেন, যদি আগে জানতে অমিকে গ্রেফতার করা হবে, তা হলে আগেই তাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতাম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (সাহারা খাতুন) বেঁচে থাকলে কোনো চিন্তাই করতাম না। তিনি মারা যাওয়ার পর আমি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছি।

অমি কয়েকটি দেশের নাগরিক বলেও জানান বাবা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, অমি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া অমির রয়েছে ৭/৮টি দেশের পাসপোর্ট এবং সবই ভিসা লাগানো।

জানা গেছে, অমির বাবা এলাকায় তোফা হাজী বা আদম ব্যবসায়ী তোফা নামেই বেশি পরিচিত। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গুল্যা গ্রামে তার গ্রামের বাড়ি।

১৯৮৫ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তোফাজ্জল হোসেন। দেশে ফিরে আদম ব্যবসা শুরু করেন পেঙ্গুইন ট্রেনিং সেন্টারের মালিক মিজানের সঙ্গে। পরে এককভাবে তিনি আদম ব্যবসা শুরু করেন।

ঢাকার আশকোনা এবং দক্ষিণখানে গড়ে তোলেন দুটি ট্রেনিং সেন্টার। সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠাতে শুরু করেন। ৭/৮ বছর আগে হজ করার পর ব্যবসার দায়িত্ব ছেলে তুহিন সিদ্দিকী অমির হাতে ছেড়ে দেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তোফাজ্জল হোসেন। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

ছেলের সঙ্গে পরীমনির বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে তোফাজ্জাল হোসেন, অমি ও পরীমনি ছিল স্কুলজীবনের বন্ধু। তার সঙ্গে কোনো পারিবারিক বা আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও জানান, অমির জন্ম ঢাকার আশকোনায়। সেখানেই বড় হয়েছেন। স্কুলজীবনে পরীমনির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এর পর আর যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি জানতে পারেন পরীমনির করা মামলায় অমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ঘটনার চার দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।

সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি।

ওই দিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
1234567
15161718192021
293031    
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ