ভুতুড়ে বিলের দায়ে ২৯০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

ভুতুড়ে বিলের দায়ে ২৯০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের দায়ে ২৯০ জনকে চিহ্নিত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ।

রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। বিদ্যুৎ বিভাগের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিষয়ে সচিব বলেন, আরইবি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে। তারা খুঁজে বের করছে কারা এ জন্য (ভুতুড়ে বিল) দায়ী। চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করার কাজ চলছে। আরইবি তাদের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

সচিব জানান, ডিপিডিসি অতিরিক্ত বিলের অভিযোগে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত, ৩৬টি ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কারণ দর্শানোর নেটিশ দিয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৩ জন মিটাররিডার এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ মোট ১৪ জনকে চুক্তিভিত্তিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

নেসকোর ২ জন মিটাররিডারকে বরখাস্ত করেছে। একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলি করেছে। ওজোপাডিকো ২২৩ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

সুলতান আহমেদ বলেন, যাদেরই অতিরিক্ত বিল এসেছে, তার সব সমন্বয় করে দেয়া হয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একদিনের নয়। কাজেই কোনো গ্রাহক যদি এখনও মনে করেন তার বিল বেশি এসেছে, তার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা তার বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে ব্যবস্থা নেব। যাদের কারণ দর্শানোরা নোটিশ দেয়া হয়েছে, তাদের সবার বিষয়ে তদন্ত হবে। কোনো গাফিলতি পাওয়া গেলে চাকরি বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ ধরনের ভুল যাতে না হয়, সে জন্য শতভাগ মিটার দেখে বিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান বিদ্যুৎ সচিব।

জুনের মধ্যে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে মাসুল ছাড়া বিল দেয়ায় ছাড় দেয়া হয়েছিল তা বাড়ানোর চিন্তাও করা হচ্ছে। তবে সেটি শুধুই আবাসিকের ক্ষেত্রে দেয়া হতে পারে বলে সচিব জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৯৬ বিলে অসঙ্গতি পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দুই কোটি ৯০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১১ জনের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ গ্রাহকের মধ্যে ১৫ হাজার ২৬৬ জন, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৫ হাজার ৬৫৭ জন, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২ হাজার ৫২৪ জন, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৫৫৬ জন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে ২ হাজার ৫৮২ গ্রাহক অতিরিক্ত বিলের শিকার হয়েছে।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ড. সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা সবসময়ই গ্রাহকবান্ধব। আমরা যে আস্থা হারিয়েছি আশা করছি তা শিগগিরই পুনরুদ্ধার করতে পারব। ভবিষ্যতে বিতরণ কোম্পানিগুলো এ ধরনের সংকট সমাধানে শতভাগ মিটার রিডিং নিয়ে বিল করবে।
সচিব বলেন, করোনার মধ্যে আমাদের মিটাররিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং করতে পারেনি। এ জন্য এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। করোনার মধ্যে ৬০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এ রমধ্যে ১২ জন বিদ্যুৎ কর্মী মারা গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমাদের কাছে ৪ হাজার ৩৩০টি বিলের অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু আমরা নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখেছি ১৫ হাজার গ্রাহকের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। তাদের সবার বিল সমন্বয় করা হয়েছে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930 
       
1234567
15161718192021
293031    
       
22232425262728
2930     
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ