কুলাউড়ার সাবেক এমপি আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবাষির্কীতে ​রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২১

কুলাউড়ার সাবেক এমপি আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবাষির্কীতে ​রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

 

নিউজ ডেস্ক:: সাবেক সংসদ সদস্য, কৃষক লীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ২৯তম মৃত্যুবাষির্কীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাঁর বাণীতে আব্দুল জব্বারের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলে, জতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যাঁরা আজীবন বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছন প্রয়াত নেতা আব্দুল জব্বার তাঁদের অন্যতম।

মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ১৯৬২ এর শিক্ষা-আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয়দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন।এজন্য তাঁকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।

একুশে পদক প্রাপ্ত আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী রাজনীতিবিদ।মাটি ও অবহেলিত মানুষের সাথে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক।

তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্নাঢ্যময় ও অহংকার করার মত। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা, কর্মীর প্রতিস্নেহ প্রবণতা ও দেশ প্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে।

নন্দিত জননেতা আব্দুল জব্বারের জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক উইকে বিডি টিভি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্মরণসভা, ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠান, মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ