কাজী নজরুলের প্রয়াণ দিবসে যে আক্ষেপের কথা জানালেন নাতনি

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২১

কাজী নজরুলের প্রয়াণ দিবসে যে আক্ষেপের কথা জানালেন নাতনি

অনলাইন ডেস্ক :: দ্রোহের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সকাল ৭টায় কবি পরিবারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কবির নাতনি খিলখিল কাজী।

বিশেষ এই দিনে একটি আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন কবির নাতনি।

খিলখিল কাজী বলেন, বাঙালির আত্মপ্রকাশে দুর্দান্ত প্রেরণা ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখনি সব সময় কাজ করেছে এবং তার মত এত বড় অসাম্প্রদায়িক কবি পৃথিবীতে খুব কমই আছে। তার এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাঙালি বারবার উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছে।

কবি নজরুল এখনও প্রাসঙ্গিক জানিয়ে খিলখিল বলেন, তিনি সব সময় মানুষের জয়গান গেছেন, তিনি গণমানুষের কবি ছিলেন। মানুষকে নিয়ে পথ চলেছেন বলেই তিনি আজও প্রাসঙ্গিক।

পরে আক্ষেপের কথা জানান খিলখিল। মৃত্যুর ৪৫ বছর পরও কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলি বিদেশি ভাষা অনূদিত না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন কবি নাতনি। বলেন, তার সংগীত, তার কবিতা বাঙালির অমূল্য সম্পদ। কিন্তু রচনাবলি আজও অনুবাদ হয়নি। বাংলাদেশি বা বাঙালিদের মধ্যেই এগুলো বেঁধে রাখা হয়েছে।

তিনি অনতিবিলম্বে নজরুল রচনাবলি ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে নজরুলকে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

খিলখিল আক্ষেপ করে বলেন, জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির কবরে শুধু ফুল দিলেই তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হয় না। তার কাজগুলো সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এটা রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব, এটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, যৌবনের কবি নজরুল ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে তার বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতাটি রচনা করেন। এ বছর ডিসেম্বরে সেই কবিতার শতবর্ষ উদযাপন করা হবে।

কবির নাতনি বলেন, বিদ্রোহী কবিতা হচ্ছে সারাবিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলের একটি। এটি একটি কালজয়ী কবিতা। বিদ্রোহীর যে সত্তা, এটি উৎপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছে। আজকে পৃথিবীতে হানাহানি, জাতিগত বিভেদ ও লড়াই চলছে। বিদ্রোহীকে যথাযথ অনুবাদ করে যদি সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, সেটি হবে বড় কাজ।

১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। মাত্র ২২ বছরের লেখক জীবনেই ৩ হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প আর উপন্যাস দিয়ে দখল করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অনন্য স্থান।