খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি , শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির কথা ভাবছে সরকার

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি , শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির কথা ভাবছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক ::

দেশে উদ্বৃত্ত থাকার পরও শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির কথা ভাবছে সরকার। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধে বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কারসাজি ঠেকাতে ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রয়োজনে চাল আমদানি করা হবে।

এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষকও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও চালের বাজার অস্থিতিশীল করার শঙ্কা রয়েছে।

চালকল মালিকরা সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি খাদ্য গুদামে সঠিক সময়ে চাল সরবরাহ করতে গড়িমসি করলে কৃষকের স্বার্থে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির কথা ভাবছে সরকার।

১ জুলাই চালকল মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এই ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করে তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন। যদি তা না করেন তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে।

কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না। গেলে মিলারদের লোকসান হবে এবং যে সব কৃষক ধান ধরে রেখেছেন তারাও লোকসানে পড়বেন।

এই সময়ে যেসব মিল এগিয়ে আসবে তাদের ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সেসব মিলকে পরবর্তীতে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর এ আহ্বানের পরও চালের দাম বাড়তে থাকে। ছোট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিল মালিক ও বড় ব্যবসায়ীরা তাদের কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছেন, চালের দাম বেড়েছে সে কারণেই।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ৮ লাখ টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার।

কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে শুরু হয় চাল সংগ্রহ। ধান-চাল সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট।

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হচ্ছে।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে এখন মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এরমধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ। সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে চাচ্ছে।