অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

সিল-নিউজ-বিডি ডেস্ক :: বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষাপটে ইউরোপের অর্থনীতিতে গত মার্চ মাস থেকে ব্যাপক মন্দা লক্ষ্য করা যায়। তবে জুন মাস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অর্থনৈতিক জরিপে ক্ষয়ে যাওয়া সংকোচিত অর্থনীতির গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মার্চ মাসে বস্তুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এপ্রিল মাসে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে ওঠে। তবে গত মে মাস থেকে উন্নতি শুরু হলেও জুন মাসে তা আশানুরূপ উন্নতির দিকে যেতে শুরু করে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মোট ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইনডিকেটর (ইএসআই) বা অর্থনৈতিক বোধ বা ভাব সূচকে গত মে মাসের চেয়ে ৮.১ পয়েন্ট বেড়ে ৭৪.৮ এসে দাঁড়িয়েছে। যা এ বছরের এপ্রিল মাসে নেমে এসেছিল ৬৩.৮ এবং যা স্বাভাবিক অবস্থায় গত বছর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছিল ১০১.০০ পয়েন্ট।

মোটামুটি একই চিত্র ইউরো জোনে ৮.২ পয়েন্ট বেড়ে ৭৫.৭ উন্নত হয়েছে। ইএসআইতে ব্যবসায়ের সকল ক্ষেত্র অর্থাৎ শিল্প, সেবা, ভোগ্যপণ্য, ভোক্তা, নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

ইউরোজোনে তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্ত অর্থনীতির কয়েকটি দেশ ইএসআই সূচকে গত মে মাসের তুলনায় নেদারল্যান্ড (+ ৮ দশমিক ৩), ফ্রান্স (+ ৯ দশমিক ৪), স্পেন এবং ইতালি (+ ৮ দশমিক ২) বেলজিয়াম (+ ৫ দশমিক ৬) এবং পর্তুগাল (+ ১১ দশমিক ১) পয়েন্ট উন্নতি হয়েছে।

উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে ইম্প্লয়মেন্ট এক্সপেক্টেশনস ইনডিকেটর বা কর্মসংস্থান প্রত্যাশার সূচকেও গত মে ২০২০ মানুষের চেয়ে ১১.৯ পয়েন্ট বেড়ে ৮২.৭ এসে পৌঁছেছে। যা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নেমে গিয়েছিল ৫৯ দশমিক ৬ পয়েন্টে।

অ্যাভেঞ্জার ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে ছিল ১০৫ দশমিক ১ পয়েন্ট। অপরদিকে ইউরোজোনে গত মে মাসের চেয়ে জুন মাসে ১২ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮২.৮ উপনীত হয়েছে।

যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পর্যটন খাতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। তবে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশে পুনরায় খুবই স্বল্প পরিসরে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এর বাস্তবিক প্রেক্ষাপট আশা করা হচ্ছে পরবর্তী দিনগুলোতে পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা ইউরো জোনের অর্থনীতি একটি আশা জাগানিয়া স্থানে স্থির হতে পারবে।

প্রসঙ্গত, মহামারী শুরুর দিকে তহবিল গঠন এবং বণ্টন নিয়ে দুটি দেশের অর্থমন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মানসিক সংকট সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং মানবতার প্রতীক হিসেবে ইউরোপ নিজেদের মধ্যে সাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গঠনমূলক আর্থিক, সামাজিক পরিকল্পনা এবং যুগোপযোগী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিধি নিষেধ আরোপ করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ