গোলাপগঞ্জে পর্চা জালিয়াতির মূল হোতা হেলাল সহ আরো ৪ জন কারগারে

প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

গোলাপগঞ্জে পর্চা জালিয়াতির মূল হোতা হেলাল সহ আরো ৪ জন কারগারে

ডেস্ক রিপোর্ট
সিলেটের গোলাপগঞ্জে পর্চা জালিয়াতি করে ভূমি আত্মসাতের মূল হোতা হেলাল সহ আরো ৪ সহোদরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (৮ জুলাই) সিলেটে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামীরা হলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের মৃত আতাউর রহমান মিয়া ঠাকুরের পুত্র হেলাল আহমদ, দিলাল আহমদ, ইকবাল আহমদ ও তালাল আহমদ। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত আরো চার নারীকে জেলে প্রেরণ করেন আদালত। এ নিয়ে পর্চা জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত একই পরিবারের ৮ জনকে জেলে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ,সিলেটের
গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ গ্রামের মো. আখলাছ মিয়ার মালিকানাধীন হাতিম নগর দক্ষিণ মৌজার কয়েকটি দাগের জায়গার জাল পর্চা তৈরী করে জালিয়াত চক্রের হোতা একই গ্রামের হেলাল আহমদসহ (৪৫) তার পরিবারের ৮ জনের নামে নামজারী করে নেয়।
বিষয়টি জেনে জায়গার মালিক মো. আখলাছ মিয়া গোলাপগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে ২০১৯ সালে হেলালসহ তার পরিবারের নারী-পুরুষ ৮ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে গোলাপগঞ্জ সি আর মামলা নং ৩২১।
মামলায় উল্লেখিত চারজন ছাড়াও একই পরিবারের আরো ৪ নারীকে আসামী করা হয়। তারা হচ্ছেন হেলালের বোন শিরীন বেগম ও জুলি বেগম। হেলালের মা হোছনা বেগম লেবু ও হেলালের ভ্রাতৃবধু ফরিদা বেগম।
আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি জোন সিলেট-এর উপ-পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী আদালত জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনা সত্য বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়,সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার জে’এল ৩৩ নং
হাতিম নগর দক্ষিণ মৌজার ২০নং ডিপি খতিয়ানে ( বুজারত ২২৫ ও ২২৬ নং খতিয়ানে) জায়গার পর্চা জাল করে হেলাল ও তার পরিবারের লোকজন তাদের নামে নামজারী করেন নেন। মামলার আসামীরা ২২২ দাগের স্থলে ২৭৯, ২৫৬ দাগের স্থলে ৭৩২ ও ৭৩৮ দাগ লিখে কয়েকটি জায়গার দাগে ২ শতকের স্থলে ৩ শতক, অপর একটি দাগে ৩ শতকের স্থলে ৫ শতক, ৫ শতকের স্থলে ৭ শতক লিখিয়ে জায়গা তাদের নামে সঠিক বলে নামজারী করে নেয়।
প্রতিবেদন দাখিলের পর গত ৮ মার্চ মামলার ৪ মহিলা আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। এ সময় জালিয়াতির মূল হোতা হেলালসহ চার পুরুষ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর প্রধান আসামী হেলালসহ ৪ সহোদর বুধবার সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চায়। আদালত জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আসামীদের পক্ষে জামিন শুনানী করেন সিলেট জেলা বারের অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবি। এ সময় বাদী পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন অ্যডভোকেট হুমায়ুন রশিদ। তাকে সহযোগিতা করেন সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সামিউল আলম ও অ্যাডভোকেট শরীফ আহমদ। ###

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ