‘টিকেট কেলেঙ্কারিতে সোমা ও লতিফ ট্রাভেলস জড়িত’ স্মারকলিপিতে অভিযোগ আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২০

‘টিকেট কেলেঙ্কারিতে সোমা ও লতিফ ট্রাভেলস জড়িত’ স্মারকলিপিতে অভিযোগ আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের

অনলাইন ডেস্ক :; বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট সিলেট অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ জানান, মূল দোষী বিমান কর্মকর্তা নয়, আটাবের বর্তমান সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আগামী ১৩ জুলাই তারিখে জেড. ওয়াই. এল- ডি. এ. সি-এল. এইচ. আর. এ. ফ্লাইটে কতিপয় অসাধু ট্রাভেল এজেন্সি বুকিং অনিয়ম করে সিলেট বিমান কর্তৃপক্ষের উপর দোষ চাপানো ও বিমানের ক্ষতিসাধন চেষ্টা সহ জাতীয় এয়ারলাইন্স এর সুনাম ক্ষুণ্ণ করার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই স্মারকলিপি দেন আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে আটাব সিলেট অঞ্চলের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার জলিল, মো. সামছুল আলম, মনসুর আলী খান সহ আরো অনেক আটাব সিলেট অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ এতে স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে তারা আরো জানান, ‘আটাব সিলেট অঞ্চলের বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত কিছু সদস্যের অনুরোধে এবং যাত্রীদের চাহিদা থাকায় সিলেট বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আগামী ১৩ জুলাই তারিখে বিজি-০০১ একটি এ ফ্লাইট প্রদানের ঘোষণা দেয় এবং সিলেট বিমান কর্তৃপক্ষ ও যথারিথি অপেন ফর অল নীতিতে তা সিস্টেমে প্রদান করে এবং আটাব সিলেটের সভাপতি সম্পাদককেও অবহিত করা হয়, কিন্তু আটাব সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবুল ও হাব সচিব জহিরুল কবির শীরু সহ নিজেদের ৭/৮ জন ছাড়া অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্টকে অবহিত না করে নিজেরা ভুয়া নাম দিয়ে, উক্ত ফ্লাইটের অধিকাংশ সিট ব্লক করে রাখেন। এবং পরবর্তীতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে (টিএল) টি.কে.টি ইস্যু না করতে পেরে তারাই নিজেরা ভূয়া নামে ব্লক করা সিট ক্যানসেল করেন।’

স্মারকলিপিতে আরো বলেন, ‘এই দূবৃত্তায়নে জড়িত এজেন্ট বর্তমান আটাব সিলেট অঞ্চলের সভাপতি, সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস’র সত্ত্বাধিকারী মোতাহার হোসেন বাবুল’র নিজস্ব ৫৭ টি লিংক টিকেট ইস্যু করার জন্য রয়েছে, যা অন্যান্য সদস্য বা এই ট্রেডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তিনি ১৩ তারিখ লন্ডন ফ্লাইটে ৩১টি সিট ভুয়া বুকিং করেন এবং ২৮টি ক্যানসেল করেন এবং পরবর্তীতে আরও ৩৫টি সিট বিভিন্ন লিংক এর মাধ্যমে বুকিং ও ক্যানসেলও করেন।’

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘মোতাহার হোসেন বাবুল নিজে বৈধতার খোলসে অবৈধভাবেও বিভিন্ন দেশে মানব পাচার ও মহিলা প্রেরণ করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। গত ২০১৯ সালের ২৭ মে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে ৩ জন ভুয়া ওমরা হজ্জ যাত্রী এনএসআই কর্তৃক ধৃত হয়ে অফলোড করা হয়। যাদের আসার সময় তার্কিশ এয়ারলাইন্সে ইস্তাম্বুল ট্রানজিট ছিল এবং এদের মূল গন্তব্য ছিল ইউরোপ।’

এছাড়া লতিফ ট্রাভেলস গত ৩ জুলাই ১ম দিন ২৮টি বুকিং করে ২০টি ক্যানসেল করেন এবং তৎপরবর্তীতে আরও ২২টি সিট ধরে তাও ক্যানসেল করেন।

তারা আরো উল্লেখ করেন, ‘অতীতে টিকেট কেলেঙ্কারিতে কালো তালিকাভুক্ত ৫৩টি এজেন্সির মধ্যে উক্ত লতিফ ট্রাভেলসও ছিল। এ পর্যন্ত উপরোক্ত ২ জনের ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হলেও আরও ৭/৮ টি ট্রাভেল এজেন্সি এই অপকর্মের সাথে সংযুক্ত আছে বলে আমাদের ধারনা! যা সঠিক তদন্ত করলেই আসল রহস্য ও দুর্বৃত্তদের নাম বেরিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করি। তারা নিজেদেরই করা অপকর্ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে প্রকৃত সিলেটের আটাব সদস্যদের এবং জোনাল কমিটির অনেককে না জানিয়ে কিছু সংখ্যক বহিরাগতদের নিয়ে আটাব অফিসে না বসে অন্যত্র একটি গোপন মিটিং করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সিলেট বিমান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে মিথ্যা অপপ্রচার করা বাংলাদেশ বিমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। উপরোক্ত দূর্বৃত্তায়ন ও অপপ্রচারে আমরা সিলেটের অন্যান্য সকল ট্রাভেল এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি একই সাথে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে, অর্থনৈতিক ভাবেও বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

এই অপকর্মের কারনে এবং সিলেট বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমানের স্বচ্ছতা প্রকাশে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট সিলেট অঞ্চলের নেতৃবৃন্দরা আহ্বান জানান।