খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশিরা অনেক আপত্তি করেছে :পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২১

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশিরা অনেক আপত্তি করেছে :পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

 প্রতিবেদন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আপত্তিতে বাংলাদেশ পাত্তা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিদেশিরা আমাদের অনেক কিছু নিয়েই আপত্তি করে থাকে। তবে তাদের আপত্তি আমরা গ্রাহ্য করি না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউয়ের আপত্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে কী আপত্তি করল না করল, তাতে আমাদের কী? তারা আপত্তি করলে আমরা তাদের বোঝাব, আমরা আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এটা করেছি। অনেক লোকে অনেক আপত্তি করে। আপত্তি ওরা করুক, তারা অনেক সময় বকবক করবে। কিন্তু আমরা আমাদের মঙ্গলের জন্য যা দরকার করব।

এ সময় ড. মোমেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভর্তুকি ও পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশিদের আপত্তির উদাহরণ টানেন। মন্ত্রী বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশিরা অনেক আপত্তি করেছে। আমাদের বড় বড় বন্ধু রাষ্ট্রসহ বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ বলেছিল, আপনারা পারবেন না। এক বছর আইএমএফ আমাদের এফডিআই তুলতে দেয়নি। কিন্তু দেখুন, এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

‘পদ্মা সেতুর কথা বলি, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের ওপর ক্ষেপে গেল। কত রকম ঢংঢাং বের করল। পয়সা দেওয়ার আগেই বলে এখানে চুরির মহড়া চলছে। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করে ফল তাদের দেখিয়ে দিয়েছেন।’

গত মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইইউ বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওই দিন ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইইউ চতুর্থ কূটনৈতিক পরামর্শ সভা শেষে ইইউ বিবৃতিতে জানায়, এ আইনের কিছু বিধানে ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিবৃত উদ্দেশ্যের বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা হুশিয়ারি দেয়। তারা যে আমার কাছ থেকে কাপড় নেয়, সেটা কিন্তু দয়া বা বাধ্য হয়ে নয়; সস্তা দরে নেয়। বিশ্ব ব্যাংক যে আমাদের টাকা দেয়, এর অর্থ এই নয় যে তারা আমাদের দয়া করেছে। তারা টাকা দেয়, কারণ টাকা না দিলে তাদের চাকরি চলে যাবে।

এ সময় ড. মোমেন দেশের গণমাধ্যমগুলো বিদেশিদের কথায় বেশি হইচই করে বলেও মন্তব্য করেন।
সিলনিউজবিডি ডট কম / এস:এম:শিবা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ