সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক
ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এখন চলছে তোলপাড়। বিশেষ করে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকানোর মিশনে দলটি তেমন একটা সফল নয়। সিলেটসহ সারাদেশের একই চিত্র। বিদ্রোহী নেই, এমন ইউনিয়ন খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। আর তা নিয়েই দলটিতে তোলপাড় চলছে। চলছে আলোচনা এবং সমালোচনাও।
বিশেষ করে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও নৌকা প্রতিকের বিরোধীতাকারীদের জন্য যেসব শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে, নির্বাচনের পর তা কার্যকর করতে শুরু করলে দলটির অবস্থা যে কোন পর্যায়ে যায়, এ নিয়ে শংকিত অনেক নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী।
এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল, যাতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকানো যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেসব কৌশল প্রায় সবই ব্যর্থ বলেই মনে করছেন সচেতন মহল।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মাত্র ২ জন। অপর তিনজনই কেন্দ্রের পছন্দের। এ অবস্থায় এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকছেনই, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
আবার সিলেট সদরের একটি উপজেলায় শিবির কর্মীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার জোরালো অভিযোগ উঠেছে । তার প্রকাশ্য বিরোধীতা করছেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। আবার সুনামগঞ্জে নিজে নৌকার মনোনয়ন না পাওয়ায় সরাসরি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করেছেন অনেক ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। এগুলো প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে এসেছে বা আসতে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে এজাতীয় ঘটনার সংবাদ আরও আসবে বলেও মনে করছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।
তারা মনে করছেন, তৃণমুলে বিদ্রোহে টালমাটাল অবস্থা। অনেক ইউনিয়নে যোগ্য এবং ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত। আবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলেও যে টাকার খেলা চলছে বা চলেছে, তাও প্রকাশ্যে এসেছে।
এ অবস্থায় চারদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছাড়ি যে থাকছেই, তাকেও সচেতন মহল মোটেও অস্বাভাবিক মনে করছেন না। শাস্তির ভয় বা চোখ রাঙানো, কোন কিছুতেই বিদ্রোহ ঠেকানোর কোন উপায়েই দেখছেন না তারা।
আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত সচেতন মহল সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রীতিমতো শংকিত। তাদের প্রশ্ন, বিদ্রোহী প্রার্থী বা নৌকার বিরোধীতাকারী আওয়ামী ঘরানার নেতাকর্মীদের ঘোষিত শাস্তির আওতায় কি সত্যিই আনা হবে? হলে দল কতজনকে শাস্তি দিবে? নাকি শেষ পর্যন্ত বরাবর যা হয়, সেই সাধারণ ক্ষমার পথেই হাটবে দলটি?
তারা মনে করেন, শাস্তি কার্যকর করা হলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ লণ্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে। ঝড়ের কবলে পড়বে বলেও মনে করছেন কয়েকজন সচেতন আওয়ামী লীগার।
কারণ, স্থানীয় নির্বাচনের সাথে কেবল রাজনৈতিক বিষয় আশয় জড়িত থাকেনা। থাকে গোষ্ঠীর প্রভাব, আত্মীয়তা বা পারিবারিক বন্ধন। এ অবস্থায় শাস্তি কার্যকর করতে গেলে যদি দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়! এটিও বিবেচনায় নিচ্ছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্রের ধারণা, শেষ পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর দেখা যাচ্ছেনা।
তবে বাস্তবতা বুঝতে হলে নির্বাচন শেষের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল কবীর পাভেল
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : জুমা কবীর মিম
সহ সম্পাদকঃ আরিফ মাহবুব
নির্বাহী সম্পাদকঃ ধ্রুব জ্যোতি দে
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাহমুদা আক্তার বিউটি
আইটি সম্পাদক : মাসুম আহমদ
উপদেষ্টা সম্পাদক : এ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম
ইমেইল: sylnewsbd@gmail.com, pavel.syl@gmail.com
ফেইসবুক পেইজ : Syl News BD
মোবাইলঃ 01712-540420
শ্রীহট্ট মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি