সিলেট নগরীর প্রবেশপথে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছে শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২১

সিলেট নগরীর প্রবেশপথে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছে শ্রমিকরা

নিউজ ডেক্স :: ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেটসহ সারাদেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিনে গভীর রাতে সিলেট নগরীর প্রবেশদ্বার শাহজালাল সেতুতে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা।

শুক্রবার দিবাগত রাতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের

তৎপরতার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এসকল পণ্যবাহী ট্রাককে থামতে হচ্ছে হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর সংলগ্ন শাহজালাল ব্রীজের কাছে।

সরেজমিনে দেখা যায় এসকল পণ্যবাহী ট্রাকের বেশিরভাগই সবজিবোঝাই।যেগুলো নগরীর অন্যতম কাচাবাজার সোবহানীঘাট ও বন্দরবাজারের লালবাজারে যাওয়ার কথা।

এ রিপোর্ট লেখা (রাত ২.৪০) পর্যন্ত ট্রাকগুলো সারিবদ্ধভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান করছে।এসময় টহল পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

এদিকে হুট করে বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন নগরী সিলেটে আসা পর্যটকরা।শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ছুটির দিন বলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। আবার শুক্রবার পুরোদিন সিলেটের বিভিন্ন পর্যন্ট কেন্দ্র ঘুরে কেউ কেউ রাতেই ঢাকার উ্দ্দেশ্যে রওয়ানা দেন আর কেউবা একদিন থেকে পরদিনন শনিবার চলে যান।

কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে যারা এসেছেন তারা বাসে ফিরতে পারছেন না। ধর্মঘটের কারণে তাদেরকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ভোর থেকে সিলেটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, সিলেট থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।এতে করে ভোগন্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আঞ্চলিক সড়কেও বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। তাই হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।বিশেষ করে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে সিলেটে আসা পর্যটকরা বিপাকে পড়েছেন। তারা না পারছেন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখতে, না পারছেন বাড়ি ফিরতে।

এ অবস্থায় অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনে যাত্রা করছেন।এদিকে শুক্রবার থেকে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বাস-ট্রাক ধর্মঘটের সময় বাড়ানো হয়েছে আগামী রোববার পর্যন্ত ফলে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকরা।

পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা বাসে করে ঘুরতে আসেন। কিন্তু আজ খুব কম সংখ্যক পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। যদি ধর্মঘট না থাকতো তাহলে প্রচুর পর্যটক আসতেন বলে জানান তারা।

খুলনা থেকে পরিবার নিয়ে সাদাপথর বেড়াতে আসা সজল চক্রবর্তী বলেন, অনেকদিন ধরে সাদাপাথর আসবো বলে আসা হয়নি। শুক্রবার ভোরে মাইক্রোবাসে সিলেটে এসে পৌঁছাই। কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন বাড়ি ফিরে যেতেও পারছি না।

দরগাহ মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা আমিনুল ইসলামের সাথে সরকারি কর্মকর্তা,সরকারি বন্ধ থাকায় জাফলং যাবো বলে রাতে ঢাকা থেকে বাসে আসি। আজ রাতে আবার ফেরার কথা রয়েছে কিন্তু বাস বন্ধ। এখন তো মাইক্রোবাসে ফিরতে হলে অনেক টাকা লাগবে।

এদিকে ধর্মঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সুনামগঞ্জ সড়কে কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল এলাকাসহ নগরের প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

অপর দিকে রোববারের (৭ নভেম্বর) আগে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, রোববারের সভার আগে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনা নেই। সব জেলা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস বন্ধ করেছে। মালিকদের সমর্থন দেয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই।

সিলনিউজ বিডি /এস۔ এম۔শিবা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ