সিলেটবাসীর সেবায় ১৭ বছর অতিবাহিত করছেন খায়রুল ফজল

প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২০

সিলেটবাসীর সেবায় ১৭ বছর অতিবাহিত করছেন খায়রুল ফজল

বাবর হোসেন: সিলেট জেলা পুলিশের গোলাপগঞ্জ থানায় সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেছিলেন ২০০৪ সালে । ২০০৬ সালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত হবার পর মেট্রোসদর কোর্টের জি আর ও হিসেবে যোগদান করে কিছুদিন পর পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হবার আগ পর্যন্ত কোর্টেই ছিলেন। ইন্সপেক্টর হবার পর মহানগর গোয়েন্দা শাখা ,এয়ারপোর্ট থানা,মোগলাবাজার থানা ও দক্ষিন সুরমা থানার ওসি গিরীতে কাটিয়ে দিয়েছেন সিলেটে চাকুরীকালের প্রায় ১৭ বছর। অনেক অর্জন,অনেক অভিজ্ঞতার ভান্ডার রয়েছে তাঁর কাছে । যেখানেই গেছেন,সেই এলাকার মানুষের ভালোবাসার পাত্র হিসেবে স্থান করে নিতে তাঁর জুড়ি নেই বললেই চলে। সিনিয়র অফিসারদের ম্যানেজ করা কিংবা তাদের মেজাজ-মর্জির সাথে তাল মিলিয়ে চলারমত সকল কায়দা-কানুনই রপ্ত করেছেন তিনি।শুধু মাত্র মুশফিকুর রহমান নামের এস এম পি,র দক্ষিন জোনের একজন উপ পুলিশ কমিশনার ছিলেন তাঁর সাথে বনিবনা হয়নি।দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনর্চাজ হিসেবে পোষ্টিং পেয়েছেন একাধিকবার। এখনো তিনি দায়ীত্ব পালন করে চলেছেন। গত ১৪-১৫ বছরে দক্ষিন সুরমা থানায় যে সব পুলিশ ইন্সপেক্টর ওসি,র দায়ীত্ব পালন করে গেছেন তারা কেউই দ্বিতীয় বার এখানে ওসি হয়ে আসতে পারেননি ,কিন্তু তিনি সক্ষম হয়েছেন । ইন্সপেক্টর শাহ হারুন অনেক চেষ্টা করেও পুনরায় ওসি হয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন বিগত দিনে। থানার ওসি হিসেবে তিনি সবাইকেই খুশি রাখতে চেষ্টা করেছেন অতীতের দিন গুলোতে। ভালো-মন্দের তেমন একটা বাছ-বিচার করেননা তিনি। চাহিদাও তেমন নেই,তবে একদম খালি হাতে তাঁর কাছ থেকে কেউ কিছু পেয়েছেন বলে মনে হয়না ,হউক সেটা উপকারক কিংবা ক্ষতিকারক ।গন যোগাযোগের নেটওর্য়াক এবং উপর মহলের নেক নজর প্রাপ্তির প্রতিযোগীতায় তাঁকে হার মানাতে হলে আগে থেকে প্রশিক্ষন নিতে হবে যে কাউকে ।তাঁকে ভালোবাসেন,এমন লোকও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা কিংবা অভিযোগ করে তা প্রমান করার নিশ্চয়তা পাওয়া মুশকিলজনক।তাঁর সাথে পোষ্টিং হয়ে সিলেট এসেছিলেন কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিলেন এমন অনেকেই তাঁরমতো অবস্হান করে টিকে থাকতে পেরেছেন বলে উদাহরন দেয়ার চিন্তা করাই যায়না ।মার্জিত ও ভদ্রতাসুলভ আচরনের আবরনে তিনি নিজেকে সব সময় বাচিঁয়ে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করেন বলে মনে হয়না।হারাম-হালালের পার্থক্য অনুধাবন করতে ভালোবাসেন। ধর্মীয় বিষয়াধি সহ পরকালের চিন্তা –ভাবনা মাথায় রেখে নিজেকে অনেক কিছু থেকে রক্ষা করার অনুশিলন মুলক মনোভাব পোষন করেন বলে দুর থেকে আন্দাজ করা গেলেও সাম্প্রতিক কালে কিছুটা ব্যতিক্রম চরিত্রের আভাষ পাওয়া যাচ্চে তাঁর আচার-আচরনে।আরকুম শাহ’র মাজার সংলগ্ন স্হানে দুই নারী পুরুষের অবৈধ সর্ম্পকের ফসল এক নবজাতক শিশুকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টাকারীদের পরিচিতি পেয়েও মাত্র দেড়-লাখ টাকার বিনিময়ে সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।শিশু টিকে সারা জীবনের জন্য জারজ সন্তান হয়ে বেচেঁ থাকতে হবে।২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিসিকের ১নং প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন।অভিযোগ দেয়ার বিগত ৭মাসেও সাধুর বাজারস্হ জিঞ্জির শাহ,র মাজার সংলগ্ন কাসেম ও নাজিমের কলোনী সহ আশ-পাশ এলাকার জুয়ার বোর্ড গুলো বন্ধ করতে থানার অফিসার ইনচার্জের দপ্তরে থেকে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি। একজন জন প্রতিনিধির লিখিত অভিযোগকে তোয়াক্কাই করছেন না বলে মনে হচ্ছে। অতি সম্প্রতি তিনি জামায়াত শিবিরের ছদ্মবেশী তৎপরতামুলক একটি অনুষ্টানে সিনিয়র আরো দুজন অফিসারের সাথে যোগদান করেছেন। ‘ওসি সাব’ কিংবা ‘ওসি স্যার’ হিসেবে জামাত-শিবিরের নেতা কর্মীরা তাকেঁ সম্ভোধন করেনা,তারা তাকেঁ ভাই কিংবা মামা হিসেবে সম্ভোধন করতে ওসি,র চেম্বারে প্রত্যেক্ষ করা গেছে। দক্ষিন সুরমা এলাকার জামাত-শিবিরের অনেক ছদ্ববেশী তৎপরতা এবং গোপন সাংগঠনিক চলমান কর্মকান্ড সম্পর্কে পুলিশের নজরদারী নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহমুলক মনোভাব রয়েছে সচেতন নাগরিকদের।ওসি খায়রুল ফজলের গ্রামের বাড়ী ঢাকা নরসিংদীর বেলাবো এলাকায়,ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিকদলের সাথে জড়িত ছিলেন বলে কেউ বলতে পারেনা। অর্থনৈতিক ভাবে পরিবারের অনেক ধন সম্পত্তি রয়েছে,তারঁ ভাই একজন বড়মাপের ব্যবসায়ী,বিশেষ করে পরিবহন ও টেক্সটাইল মিল জাতীয় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্টানের অধিকারী তারাঁ। সিলেটে এক নাগাড়ে ১৭ বছর চাকুরী করার বিষয়টি অনেক সময় অনেকের আলোচনায় স্হান পাবার দাবী রাখে। তিনি সুযোগ পেলেই চেনা-পরিচিত জনকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন,যদিও আইনী সহযোগীতার ক্ষেত্রে সব-সময় সম্ভব হয়না । যাবতীয় বিষয় নিয়ে ঢাকায় অবস্হানরত দৈনিক রাজনীতি পত্রিকার সম্পাদক করিম আহমদ বাংলার বারুদের পক্ষে কথা বলেছেন,পুলিশ সদর দপ্তরের এ আই জি সোহেল রানার সাথে, তিনি বলেছেন বিষয়গুলো তিনি অবগত নয় তবে পুলিশ বিভাগের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেয়ার মতামত ব্যক্ত করেছেন।