করোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০

করোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক :; বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর এই দুর্যোদকালে ঘরবন্দির এই সময়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একাধিক আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।

একাডেমি অফ ল’ অ্যান্ড পলিসি (আলাপ) আয়োজিত দুটি ওয়েবিনারে সম্প্রতি আলোচক হিসেবে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের সঞ্চালনায় “কোভিড -১৯ মহামারীকালীন রোগীদের অধিকার” শীর্ষক ওয়েবিনারে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান আইনগুলোর সুষ্ঠু প্রয়োগ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিমালাসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে মনিটরিং করা আবশ্যক। তাহলেই শুধুমাত্র চিকিৎসা ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

অন্যদিকে “ভার্চুয়াল আদালতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আরেকটি ওয়েবিনারে করোনাকালীন কোর্ট পুনরায় চালুর প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ‘এ অবস্থার মধ্যে কোর্ট পুনরায় খোলা হলে যদি কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তবে তার দায় কে নেবে? কোর্ট খোলার প্রেক্ষাপটে যদি কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে দোষটা কার ওপর গিয়ে পড়বে? আক্রান্ত ব্যক্তি কেবল দোষটা তার ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেবে না। সে এবং তার পরিবার আমাদের প্রতিষ্ঠানকেই দোষ দেবেন।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের আদালতগুলোতে এখন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম চলছে। সারা দেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে গত ১১ জুন পর্যন্ত ২০ কার্যদিবসে ৩৩ হাজার ১৫৫ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৬০ হাজার ৩৮৯টি জামিন দরখাস্ত। এছাড়া তিনটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ৮৮০ জন শিশুর মধ্যে ভার্চুয়াল কোর্টে ২০ কার্যদিবসে ৪৮৯ শিশুকে জামিন দেয়া হয়েছে।

জামিনের পর এসব শিশুর মধ্যে ৪৬০ জনকে অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টের শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে ফুলকোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে উচ্চ আদালতসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল কোর্টে বিচার কাজ অব্যাহত রয়েছে।

করোনার মধ্যে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে ভার্চুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে ১৫ জুন পর্যন্ত।

সংবাদ অনুসন্ধান ক্যালেন্ডার

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
  12345
2728     
       
28      
       
       
       
1234567
2930     
       

আমাদের ফেইসবুক পেইজ