ছাতকে এক ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

ছাতকে এক ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ

ছাতক প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী অফিস ভবনটি পরিত্যাক্ত করে অস্থায়ী ভবনে অফিসের পরিচালনা করে আসছে চেয়ারম্যান। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ থাকায় ও অবহেলা অযতেś অফিস ভবনটি ঝুপ ঝারে ভূতুতে ঘরের পরিনত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের স্থায়ী ভবনে অফিস না করে তার নিজ গ্রাম সংলগś লাকেশ্বর বাজারে অস্থায়ী অফিস করে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে ইউনিয়নবাসি অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, ১৯৮৮ সালে নতুন বাংলাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে আনুষ্টানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন। সুরমা নদী (বটের খাল) এর তীরে গড়ে উঠেছে নতুন বাংলাবাজার। নৌ ও সড়ক পথে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নতুন বাংলাবাজার পোষ্ট অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, বাংলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাংলাবাজার সামারুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থাকলে ও ইউনিয়ন অফিস ভবন থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম। যে কারনে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের জনসাধারন। ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্যক্তি স্বার্থে থমকে আছে ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের কাজ। নতুন বাংলাবাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ পরিচালনা কমিটির কতৃক বাজারের একটি দোকান ভিটা বিক্রি ও বিভিনś খাতের আয় থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্বসাতের অভিযোগ করেন এলাকাবাসির লোকজন। ইউনিয়ন ভবন কমপ্লেক্স নির্মানের নামে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ আড়াই লাখ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে বানারশিপুর গ্রামের মৃত. হাছন আলীর পুত্র সাহিদ আলী এলাকাবাসীর পক্ষে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সাহিদ আলী। ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ তার নিজের আত্বীয় স্বজন, শশুড়বাড়ীর লোকজনের নাম ও একই পরিবারে একাধিক নাম, লাখ-পতিদের নাম তালিকায় করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষ বাদ পড়েছে।তার ˆতরি তালিকায় রয়েছে ৩ নং ক্রমিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আত্বীয় মঈন উদ্দিন, ৫ নং ক্রমিকে বাবুল মিয়া, ৭ ও ৯ নং ক্রমিকে ফারুক মিয়া, নুর মিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজা, ১৪ নং ক্রমিকে সেলিনা বেগম ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালিকা ২০নং ক্রমিকে আমিরুন নেছা (নিকট আত্বীয়), ৪৪ নং ক্রমিকে ফয়জুল হক ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালক নাম ও আছে। গত বছর ইউপি চেয়ারম্যানে শ্যালিকা বড়পলিরগাঁও গ্রামের সেলিনা বেগম, ভাতিজা লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের নুর মিয়াকে পৃথক দুটি সরকারী ঘর বরাদ্ধ করেন। এছাড়া সরকারী ৮ টি সোলার প্যানেল তার বাড়ীর রাস্তায় স্থাপন করেছেন বলে এলাকাবাসি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বোরো ধান সংগ্রহে কৃষকদের জমাকৃত কৃষি কার্ড দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও তার পুত্র শামীম আহমদ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে তার বিরুদ্ধে ২০ মে ২০২০ ইং তারিখে ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামের মৃত. সাজিদুর রহমানের পুত্র এখালাছুর রহমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ১০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে কহল্লা গ্রামের নিশি কান্ত দেবনাথ জানান ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যও ইউনিয়ন ভবন অফিসে আসেননি। তিনি লাকেশ্বর বাজার তার ব্যাক্তিগত অফিস করে আসছে। তার বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ ভয়ে অনেকেই মুখ খুলে কথা বলতে পারছেনা। সাধারন অসহায় মানুষ নিরবে কাঁদছে। বানারশি গ্রামের গেদুনি বিবি জানান, বাংলা বাজারে সরকার সব কিছু দিয়েছে। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ সব কিছু গাড়িতে তোলে লাকেশ্বর বাজার নিয়ে গেছেন। তার গ্রাম এলাকায় তিনি উনśয়ন করছেন। আমরা এই এলাকার মানুষ বঞ্চিত হয়েছি। গেদুনি বিবি অরো জানান, আমার স্বামী আতাউর রহমান ৮৫ বছর বয়স। মরার সময় চলে আসছে। কিন্ত বয়স্ক ভাঁতা পাননি। চেয়ারম্যানের অফিসে অনেক হেঁটেছি। কাগজ পত্র জমা দিয়েছি একাধিকবার। এব্যাপারে গয়াস আহমদ জানান.তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করে বলেন কৃষি কার্ড জালিয়াতির ব্যাপারে তা কিছু জানা নেই। এব্যাপারে উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা গোলাম কবির জানান,গয়াছ আহমদ চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে তার কাছে কোন অভিযোগ তার জানা নেই। তবে তার অফিসের সিআই সঙ্গে যোগাযোগ করা জন্য বলা হয়।##