হারাম শরিফের মর্যাদা

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২০

হারাম শরিফের মর্যাদা

মুহাম্মদ আশরাফ আলী

আল্লাহ রব্বুল আলামিন কাবাঘর বা হারাম শরিফকে সুমহান মর্যাদা দিয়েছেন। একে কেন্দ্র করে হজ পালিত হয়। আরবের মক্কা নগরীতে এ ঘর অবস্থিত। বুখারির হাদিসে এ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে- ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন রসুলুল্লাহ তাঁর ভাষণে বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মক্কা এলাকাকে সপ্তম আকাশ ও ভূমন্ডল সৃষ্টির দিন থেকেই হারাম শরিফ সাব্যস্ত করেছেন। অতএব, আল্লাহর সেই সাব্যস্তকরণ অনুসারেই কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম শরিফ হিসেবে অক্ষুণ্ন থাকবে। সে মতে এ এলাকায় আমার আগেও যুদ্ধবিগ্রহ হালাল ছিল না, আমার পরও কারও জন্য হালাল হবে না। একমাত্র আমার ক্ষেত্রে এক দিনের অল্প সময়ের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তা হালাল করা হয়েছিল। মক্কার কোনো গাছের একটি কাঁটা ভাঙাও নিষিদ্ধ, এ এলাকায় কোনো বন্যজন্তু তাড়া করাও নিষিদ্ধ এবং এখানকার পথে পাওয়া কোনো বস্তু মালিকের সন্ধানলাভের জন্য বিশেষরূপে ঢোলশোহরত করার উদ্দেশ্য ছাড়া উঠিয়ে নেওয়াও নিষিদ্ধ। মক্কার কোনো ঘাস, পাতা-লতা ছিন্ন করাও নিষিদ্ধ। তখন আব্বাস (রা.) বলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! এজখের নামীয় ঘাস এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখুন। কারণ এ ঘাস আমাদের ঘরের জন্য এবং কর্মকারদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। তিনি বললেন, আচ্ছা! এজখের ঘাস এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হলো।’ পবিত্র কাবাঘরে যারা হজ ও ওমরাহ পালন করতে যান তারা জমজমের পানি পানের তাগিদ অনুভব করেন। আনুমানিক হিসেবে ৫ হাজার বছর আগে এ কূপের সৃষ্টি। হজ পালনের মাধ্যমে মানুষ কলুষতা থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়। হজরত আবু হোরায়রা বলেন, ‘আমি রসুলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ করতে যাবে এবং সব ধরনের অশোভনীয় ও গুনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকবে, হজ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে ওই ব্যক্তির অবস্থা এমন হবে যে, তার সব গুনাহ মাফ হয়ে সে এরূপ বেগুনাহ হয়ে গেছে, যেরূপ বেগুনাহ মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন ছিল।’ বুখারি। আল্লাহ আর্থিক দিক থেকে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমানকে হজ পালনের তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন