অনলাইন ডেস্ক :: বালাগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত ‘হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর উন্নয়নে সিলেট-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব এখলাছুর রহমান।

অত্যন্ত কষ্টের সাথে প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী বলেন, প্রতি বছর নদী তীরবর্তী সরকারি এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠে ব্যাহত হয় পাঠদান, বানের পানিতে নষ্ট হয়ে যায় চেয়ার, টেবিল, ব্রেঞ্চ, আলমিরা সহ ফার্নিচার সামগ্রী। বিদ্যালয়ের জরুরি কাগজ ও নথিপত্র রাখতে হয় আলমিরার উপরে, স্থান সংকুলান না হওয়ায় ব্রেঞ্চের উপর ব্রেঞ্চ রেখে প্রায় ছাদের কাছাকাছি রাখতে হয় ডকুমেন্টস।
বন্যা আসতে না আসতেই বিদ্যালয়ের একমাত্র নিচু ও সরু রাস্তা চলে যায় পানির নিচে। পানি বাড়লে ভবনও পানির সাথে একাকার হয়ে যায়। বন্যা কবলিত স্কুল হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারও জ্ঞাত আছেন।

দীর্ঘ প্রায় এক দশক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ছিল না, উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল প্রায় এক যুগ! গত বছরের শেষের দিকে গঠিত হয় নতুন পরিচালনা কমিটি। কমিটির সভাপতি হিসেবে গুরুভার অর্পিত হয় আমার উপর। দায়িত্ব নেয়ার পর পরই বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনায় দেশ চরম সংকটপূর্ণ অবস্থা অতিক্রম করছে, কিন্তু তারপরও থেমে নেই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম।

বন্যা কবলিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমার বিদ্যালয়ে নিম্নোক্ত উন্নয়ন কার্যক্রম অতীব জরুরী…
১. মাটি ভরাট ও সুউচ্চ রাস্তা
২. দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন ভবন এবং
৩. সীমানা প্রাচীর ও গেইট

আমি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এ বিদ্যাপিঠের সামগ্রিক উন্নয়নে সিলেট-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য উন্নয়নপ্রেমি জননেতা জনাব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস মহোদয় ও বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাকুর রহমান মফুর ভাইয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সৌন্দর্য বর্ধনসহ একটি মডেল বিদ্যালয় হিসেবে গড়া তুলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।