মার্কিনিদের মাস্ক পরাতে নারাজ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

মার্কিনিদের মাস্ক পরাতে নারাজ ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক :;

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশের নেতারা যেখানে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামুলক করছে সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যতিক্রম। তিনি মার্কিনিদের মাস্ক পরাতে বাধ্য করতে চান না।

ট্রাম্প বলেছেন, শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু বাড়তে থাকলেও তিনি করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্কিনিদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশ দেবেন না।

শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। তার এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন রাজ্যের নেতারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সবাইকে মাস্ক পরতে বাধ্য করার ভাবনার সঙ্গে একমত নই। নাগরিকদের কিছুটা স্বাধীনতা থাকা উচিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি সবাইকে মাস্ক পরাতে বিভিন্ন রাজ্য ও স্থানীয় নেতাদেরকে ‘প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করার’ আহ্বান জানানোর পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন।

মাস্ক পরাকে ‘সত্যিকার অর্থেই খুব গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে ফাউচি বলেছিলেন, ‘সবারই এটা ব্যবহার করা উচিত।’

বিবিসি জানিয়েছে, প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মাস্ক পরার নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে নানান ধরনের রাজনীতি হয়েছে। যদিও এখন বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের গভর্নরই উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন।

এ তালিকায় আলাবামার কে আইভির মতো রিপাবলিকান নেতারাও আছেন, যারা একসময় জোর করে মাস্ক পরানোর বিরোধিতা করেছিলেন।

জর্জিয়ার রিপাবলিকান গভর্নর ব্রায়ান কেম্প রাজ্যের বাসিন্দাদের আগামী এক মাস মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

অঙ্গরাজ্যজুড়ে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশনা না আসায় ওকলাহোমা শহর কর্তৃপক্ষ তাদের আওতায় থাকা এলাকার বাসিন্দাদের কীভাবে স্বাস্থ্যগত নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরানো যায় তা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ট্রাম্পও দীর্ঘদিন মাস্ক পরেননি। তবে গত শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির কাছে একটি সামরিক চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে প্রথমবারের মতো তাকে স্বাস্থ্যগত নির্দেশনা মেনে চলতে দেখা গেছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হিমশিম খাওয়া টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তাদের সাহায্য করার জন্য সামরিক বাহিনীর কয়েকশ স্বাস্থ্যকর্মীকে ওই দুই অঙ্গরাজ্যে পাঠানো হয়েছে।

মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য দেয়া হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ